কুমিল্লায় মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ আতংক
ডেস্ক রিপোর্টঃ সারাদেশের মত কুমিল্লায় চলছে মাদক বিরোধী অভিযান । ইতোমধ্যে কুমিল্লায় গত তিন দিনে পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে পাঁচ জন নিহত ও দেবিদ্বার থানায় ১ জন আহত হয়েছে।
গত সোমবার রাতে জেলার সদর উপজেলার বিবির বাজার সীমান্ত বাজগড্ডা এলাকার অরন্যপুরে পুলিশের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের বন্ধুকযুদ্ধে সদর উপজেলার শুভপুর এলাকার আলী মিয়ার ছেলে পিয়ার মিয়া (২৪) ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা এলাকার মহেশপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে শরিফ (২৬)। নিহত হয় ।
মঙ্গলবার রাতে আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কার চর ব্রিজের গোমতী বাঁধ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের গুলি বিনিময়ে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম ইছা (৩৫) নিহত হয় ।
বুধবার রাতে চৌদ্দগ্রাম ও সদর দক্ষিণে পুলিশের সাথে পৃথক দুইটি বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত ও অস্ত্র মাদক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতরাতেও মাদক বিরোধী অভিযানে আটক করা হয়েছে ২৫জনকে। মাদকের বিভিন্ন মামলায় এদের আটক করা হয়। প্রতিটি পরিবারে এখন বন্দুকযুদ্ধের আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্বজনরা উতকন্ঠিত আটককৃতদের নিয়ে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে এখন আতংকে আছে মাদক ব্যবসায়ীরা। বেশির ভাগ মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। পরিবর্তন করছে নিজের ব্যবহৃদ মোবাইল সিম নম্বর। তাছাড়া ওয়ারেন্ট ভুক্ত অনেক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গত কয়েকদিনে স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে কারাবরণ করছে।
মাদক নির্মূলের বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন জানান , প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি মহোদয় দেশ থেকে মাদক নির্মূল করার পাশাপাশি মাদক প্রতিরোধে সামাজিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, রমযান মাসে কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদক প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে জন্য ‘ইসলামের দৃষ্টিতে মাদক ও জঙ্গিবাদ’ বিষয়ক রচনা এবং ৩য় অন্ত:জেলা পুলিশ সুপার হামদ/না’ত ক্বিরাত আযান প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে ধর্মীয় মূল্যবোধের মাধ্যমে ইসলামের দৃষ্টিতে মাদক সেবন কিংবা এর ব্যবসার বিষয়ে নিরুৎসাহিত করতে আলোকপাত করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই ‘মাদক মুক্ত সমাজ’ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু পুলিশের একার পক্ষে মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এ জন্য সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে মাদক সেবন, বিক্রয় কিংবা সংরক্ষন এসব বিষয়ে সামাজিক গড়ে তুলতে পারলে মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা কঠিন কিছু নয়।