কুমিল্লায় সাংবাদিক-কারা রক্ষীদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে কুমিল্লা কারা কর্মকর্তা ও কারা রক্ষীদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ৪-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১০ আগষ্ট) বিকেলে কারাগারের প্যারেড মাঠে এ প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত এ খেলায় শক্তিশালী দল হিসেবে মাঠে নামে কারা কর্তৃপক্ষ দল। ফিটনেস, শক্তি-সামর্থ্য সব দিক থেকে এগিয়ে থাকা দলটির মুখোমুখি হয়েছিল কুমিল্লার কর্মরত সাংবাদিকের দল। কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের দলের নেতৃত্বে ছিলেন জেলার নাশির আহমেদ এবং অপরদিকে কুমিল্লার কর্মরত সাংবাদিকদের দলের নেতৃত্বে ছিলেন দৈনিক আজকের কুমিল্লার সম্পাদক ও বাংলানিউজটোয়েন্টি ফোরের স্টাফ রিপোর্টার ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু ।
খেলার প্রথমার্ধে দুদলেই সেয়ানে সেয়ানে লড়াই করেছে। কারাগারের টিমের বেশ কয়েকটি আক্রমণ কুমিল্লার কর্মরত সাংবাদিকদের রক্ষণভাগ দক্ষতার সাথে রুখে দেয়। রক্ষণভাগে জিটিভির সেলিম রেজা মুন্সি, জুনায়েদ, আরটিভির দক্ষিণ প্রতিনিধি সোহরাব সুমন ও গোলরক্ষক জুয়েলের দৃঢ়তায় প্রথমার্ধে রক্ষণভাগের প্রাচীর ভালই সামাল দিয়েছে তারা। অপরদিকে কারাগারের দলপতি জেলার নাশির, মহিউদ্দিনরা বেশ কয়েকবার সাংবাদিকদের রক্ষণভাগের পরীক্ষা নিয়েছে। প্রথমার্ধের খেলার শেষের দিকে কুমিল্লার কর্মরত সাংবাদিকদের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় সেলিম রেজা মুন্সির হেড জড়িয়ে যায় নিজ জালে। আত্নঘাতি গোলে লিড পেয়ে যায় কারাগারের দল।
দ্বিতীয়ার্ধে অ্যাটাকিং মনোভাবে খেলতে গিয়ে আরো তিনটি গোল হজম করে সাংবাদিকের দলটি। কিন্তু কোন গোল শোধ করতে পারেনি। চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের ক্যামেরাপার্সন আশিক, বর্তমান প্রতিদিনের শিমুল, আজকের কুমিল্লার শাহ ইমরান, বৈশাখী টিভির আনোয়ার কয়েকটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। খেলার মাঝপথে দুই স্ট্রাইকার আনোয়ার ও খালেদ সাইফুল্লাহ ফিটনেস সমস্যাজনিত কারণে মাঠ ত্যাগ করেন। মূলত কারাগারের খেলোয়াড়দের ফিটনেসের কাছে পরাজয় হয়েছে সাংবাদিকদের। সারা মাঠজুড়েই দাপুটে মনোভাব নিয়ে খেলেছে কারাগারের দলটি।
তবে সব ছাড়িয়ে খেলাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল মিলনমেলা। কারাগারের কর্মকর্তা-কারারক্ষীদের সাথে কুমিল্লার সাংবাদিকদের এ খেলার মাঝে ছিল অফুরন্ত সম্প্রীতি-ভালবাসা, শ্রদ্ধাবোধ । সব মিলিয়ে খেলাটি জয়-পরাজয় ছাপিয়ে মিলনমেলায় পরিণত হয়।
খেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের কোচ-ম্যানেজারের ভূমিকায় ছিলেন কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সমকালের স্টাফ রিপোর্টার মাসুক আলতাফ চৌধুরী এবং প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বিটিভির প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম রতন। রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন আশরাফ। লাইন্সম্যানের ভূমিকায় ছিলেন সাইফুল ও মেহেদী।
খেলার দু দলের একাদশঃ
কুমিল্লার কর্মরত সাংবাদিক একাদশঃ
ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু (দৈনিক আজকের কুমিল্লা/বাংলানিউজটোয়েন্টি ফোর), আনোয়ার হোসেন (বৈশাখী টিভি), সেলিম রেজা মুন্সি ( জিটিভি), জুনায়েদ হোসেন (সংস্থা), তাওহিদ হোসেন মিঠু ( মোহনা টিভি/বর্তমান প্রতিদিন), খালেদ সাইফুল্লাহ ( যমুনা টিভি), জুয়েল খন্দকার (ময়নামতি), শাহ ইমরান ( দৈনিক আজকের কুমিল্লা), আরিফ মজুমদার (বাংলা টিভি), সোহরাব সুমন (আরটিভি/ডেইলিকুমিল্লানিউজ.কম), এইচ এম মহিউদ্দিন ( ডেইলি ট্রাইবুন্যাল), আশিকুর রহমান আশিক (ক্যামেরাপার্সন-চ্যানেল ২৪), সুমন কবির (পথিকৃত কুমিল্লা) , মাসুদ আলম (বাংলা ট্রিবিউন/ঢাকা ট্রিবিউন/ দৈনিক আমাদের কুমিল্লা),বিপ্লব হাসান ( চ্যানেল বাংলাদেশ),শিমুল (বর্তমান প্রতিদিন), রুবেল (ক্যামেরাপার্সন) । এছাড়া ইনজুরির জন্য খেলতে না পারলেও মাঠে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান টিভির দেলোয়ার হোসাইন আকাঈদ, ডিবিসির নাসির, এস এ টিভির আবু মুসা, দৈনিক শিরোনামের ক্যামেরাপার্সন সুমন আহমেদ, বর্তমান প্রতিদিনের আব্দুল কাইয়ূম ও রহমত খন্দকার পলাশ, আজকের কুমিল্লার মহিউদ্দিন ভূইয়া। কোচ ও ম্যানেজারঃ মাসুক আলতাফ চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর আলম রতন।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্মকর্তা-কারারক্ষী একাদশঃ
জেলার নাশির আহমেদ, মহিউদ্দিন, আঃ রহিম, শাহেদ খান, মোঃ হোসেন, জামসেদ, নাজেম, আকরাম, শাওন, রিয়াজ, সাকের, কবির হোসেন, রহমান, শান্তনু, সমর, বাহার ।