কুবির বাসে হামলার ১০ দিন পার হলেও গ্রেফতার নেই
কুবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসে হামলার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রশাসন শুধুমাত্র মামলাতেই সীমাবদ্ধ থেকেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, ১১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) কুমিল্লা শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে দুর্বৃত্ত্বদের হামলায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী দ্বীন মোহাম্মদ আহত হন। ঘটনার পরদিন শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে অজ্ঞাতনামা ১০-১৫জনকে আসামী করে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ঘটনার ১০দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এর আগে গত ১৩ মে কুমিল্লা পুলিশ লাইন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাসে কোন কারণ ছাড়া স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসও ভাংচুর করা হয়। এর কোন বিচার এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আদায় করতে পারেনি বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলা একবার নয় কয়েকবার ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসন বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও ঘটনাগুলো ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। আমরা এ ঘটনাসহ পূর্বের সকল হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম হানিফ বলেন, ‘আমরা শান্তি-শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে ৬ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, তার আগে পুলিশ আমাদের কাছে সময় চেয়েছিল। কিন্তু পরিতাপের বিষয় তারা কথা রাখেনি। আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে হতাশ ও আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমরা শীঘ্রই গ্রেফতারের দাবিতে মাঠে নামবো এবং কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে প্রশাসনই দায়ী থাকবে।’
প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কুমিল্লার কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেছি। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন কি ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা আমার জানা নেই। আর গ্রেপ্তার করার দায়িত্ব হচ্ছে পুলিশের। আমি উপাচার্য ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে এ বিষয়ে কথা বলবো।’
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালাম মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ হতে যে মামলা হয়েছে সেটির তদন্ত চলছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’