কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে মনোনয়নযুদ্ধে তিন নারী
মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতাঃ এরই মধ্যে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে নির্বাচন নিয়ে জমে উঠেছে রাজনৈতিক মাঠ। এ আসনে প্রথম বারের মতো বিএনপির ও জাতিয় পার্টি (জাপা) মনোনয়নযুদ্ধে নেমেছেন তিন নারী প্রার্থী। ইতোমধ্যে ধানের শীষ প্রতীকের জন্য এক জন ও নাঙ্গল প্রতীকের জন্য দুই জন দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন।
এরা হলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ড. শাহিদা রফিক, জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমা বেগম। বিএনপির ও জাতীয় প্রাটির একাধিক প্রার্থী থাকলেও আসনটিতে এই প্রথম নারী প্রার্থী হওয়ায় আলোচিত প্রার্থী হিসেবে তাদের নামই এখন ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীদের মুখে।
জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান এমপি ১৯৫৮ সালের ৩ জানুয়ারী কুমিল্লাা আদর্শ সদর উপজেলার কাপ্তান বাজারে এক মুলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে এবং পরে বহু প্রতিকুলতার মধ্যেও তিনি পড়ালেখা চালিয়ে যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,এ (রাষ্ট্র বিজ্ঞান), বি,এড ডিগ্রী লাভ করেন। এছাড়াও তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানেজম্যান্ট এন্ড কমিউনিকেশন ট্রেনিং সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (DIP) শিক্ষা প্রশাসন ট্রেনিং সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হন। Califonia (U.S.A) থেকে ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ কোর্স সমাপ্তকরণ সম্পূর্ণ করেন। তিনি আরো বলেন, কুমিল্লা-৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে নির্বাচন করার কথা ঘোষণা দেন।
কুমিল্লা উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমা বেগম উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়নের চন্দনাইল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীর তীতৃয় সন্তান। শ্রীকাইল সরকারি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এর পর ১৯৯৮ সালে ঢাকায় জাতীয় ছাত্র সমাজে যোগদানের মধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। এবং বর্তমানে তিনি জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রিয় কমিটির নির্বাহী কমিটির কার্যকরি পরিষদের সদস্য লাভ করেন। তিনি বলেন, এ আসনের আওয়ামীলিগের মধ্যে গ্রুপিং এবং বিএনপির নেতা কায়কোবাদ মামলা জনিত কারনে অনেক দিন থেকে এলাকায় অনুপস্থিত থাকায় এই প্রথম মহিলা প্রার্থী হিসেবে সাধারন ও নারী ভোটাররা আমাকে ভোট দেয়ে বিজয়ী করবে। দীর্ঘদিন ধরেই আমি এলাকায় জনকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছি। এবার নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই।’
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ড. শাহিদা রফিক, স্বামী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া। তার পরিবার দির্ঘদিন ধরে এ আসনের বিএনপির রাজনিতীর সাথে জরিত। স্বামী ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এ আসন থেকে সংসদ সদস্যও হয়েছেন। পরবর্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি ঢাকা থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছেন। অপরদিকে মুরাদনগর আসনে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবা কে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয়। বর্তমানে ওনি মামলাযনীত কারণে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারবে না। তাই আমার বিশ্বাস বিএনপি থেকে আমাকে মনোনয়ন দেয়া হলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদল থেকে যেই আসুকনা কেন? বিএনপির বিজয় কেউ আটকাতে পারবে না।