কুমিল্লায় দুটি আসনে ওসির পরিবর্তন চাইলেন বিএনপির দুই প্রার্থী
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে গায়েবী মামলা, নির্বাচনী প্রচারনায় হয়রানিসহ সরকাল দলীয় প্রার্থীর সাথে প্রচারণায় অংশগ্রহনের অভিযোগ এনে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) ও কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের ওসির পরিবর্তন চাইলেন বিএনপির মনোনীত দুই প্রার্থী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে পৃথক দুটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবী করেন তাঁরা।
দুপরে কুমিল্লার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেন কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনের বিএনপির প্রার্থী কে.এম মুজিবুল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ২ দিনে এই আসনের দুই থানায় ৪টি গায়েবী মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ৪ টি মামলায় ১ শ’ত ৭১ জন নামীয় অজ্ঞাত আরো ১শ’ত জন বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ প্রায় ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সহযোগীতায় সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, প্রচার প্রচারনায় বাধা, পোস্টার-ফেস্টুন ছিড়ে ফেলছে। পুলিশ প্রতিদিন নেতাকর্মীদের বাড়ী থেকে ধরে এনে অস্ত্র ও মাদক দিয়ে চালান করে দিচ্ছে। এসময় বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে পুলিশ ও রিটানিং অফিসার বরাবরে আবেদন করলেও কোন ফল আসছে না। তিনি অভিযোগ করে আরে বলে মুরাদনগর ও বাঙ্গরা থানার দুই ওসিকে পরিবর্তন না করলে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্ঠি হবে না। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা-৫ আসনের বিএনপির প্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ ইউনুস এর কুমিল্লা বাস ভবনে হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০ টায় একদল দূর্বৃত্ত তাঁর বাড়ীতে অর্তকিত হামলা চালায়, এসময় বাড়ীতে গুলিসহ বাড়ীর সামনে রাখা দুটি গাড়ী, ৪ টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এ বিষয়ে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে বিএনপির নেতাকর্মীদের অহেতুক হয়রানি করছে পুলিশ। গত দু’দিনে দুই উপজেলায় ৫ টি গায়েবী মামলা দায়েরসহ ২০/২৫জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুড়িচং থানার ওসি নিজে ও অফিসারদের নিয়ে সরকারী দলের প্রচার-প্রচারনায় যাচ্ছে। সরকারী দলের লোকজান বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছে। পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের ফোন করে হুমকী-ধমকী দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এসকল অভিযোগ মিথ্যা, বিএনপির কোন নেতামর্কীদের অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে না। আর পুলিশ সরকারী দলের প্রার্থীর সাথে প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহন করেনি।
মো.জাকির হোসেন