নাঙ্গলকোটে প্রতিপক্ষের হামলায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন যুবক
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বাড়ীর সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত যুবক নজরুল ইসলাম সোহাগ (২২) ঢাকার লালমাটিয়া রয়েল কেয়ার সার্জিকেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যুর প্রহর গুণছেন। গত ৭জানুয়ারী সোমবার উপজেলার মৌকরা ইউপির মাঝিপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। প্রতিপক্ষের হামলায় নজরুল ইসলাম সোহাগের পিতা মফিজুল ইসলাম ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম লিটনও আহত হয়।
সোহাগের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের মৃত আসলাম মিয়ার ছেলে আবু তাহেরের বাড়ীর সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ১০ জানুয়ারি স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আবু তাহের গ্রাম্য শালিসকে অমান্য করে ঘটনার দিন বিরোধীয় সীমানায় ঘর নির্মাণ করতে গেলে মফিজুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম সোহাগ বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবু তাহের ও তার স্ত্রী লায়লা বেগম, ছেলে মহি উদ্দিন রাকীব, ভাগিনা শরাফতসহ ৮-১০ জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে নজরুল ইসলাম সোহাগের মাথায় আঘাত করে। আঘাতে সোহাগের মাথার খুলি ভেঙ্গে মোগজের ভেতর ঢুকে যায়। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে এলে তার পিতা মফিজুল ইসলাম ও ভাই আমিনুল ইসলাম লিটনকেও পিটিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা। আহত সোহাগকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করে। পরে তাকে ঢাকার লালমাটিয়া রয়েল কেয়ার সার্জিকেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে গতকাল শনিবার নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, এ ঘটনায় মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।