ঢাকা সিটি মেয়র হলেন কুমিল্লার আতিকুল ইসলাম

ডেস্ক রিপোর্টঃ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার এই সিটির মেয়র পদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১২৯৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৪৫টির বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে তিনিনৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩ লাখ ৮৭ হাজার ২৭৯টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ শাফিন আহমেদ লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ২৭৫ ভোট।
বাকি কেন্দ্রগুলোতেও আতিকুল বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন বলে কেন্দ্রগুলো থেকে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মো. আতিকুল ইসলাম মেয়র পদে প্রয়াত আনিসুল হকের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উত্তর সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং দুই সিটির সম্প্রসারিত ১৮টি করে ৩৬টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ হয়। ডিএসসিসির ১৮টি ওয়ার্ডের ২৩৫টি কেন্দ্র এবং ডিএনসিসির ১২৯৫টি কেন্দ্রে এই ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি এই ওয়ার্ডগুলোতে ১২টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ভোট হয়। ফলে ডিএনসিসির মেয়রের সঙ্গে ৩৬টি ওয়ার্ডে প্রথমবারের মতো ৪৮ জন (সংরক্ষিতসহ) নতুন কাউন্সিলরও নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ডিএনসিসির ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার ওসমান গনি মারা যাওয়ায় তার ওয়ার্ডেও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যুগান্তরের প্রতিনিধিরা দুই সিটির নির্বাচনী এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। দিন শেষে তারা বলেছেন, কোনো প্রকার সহিংসতা ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ছাড়াই শানি্তপূর্ণভাবে ভোট শেষ হয়। নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল।
বিশেষ করে কাউন্সিলর নির্বাচন ঘিরে ভোটারের মধ্যে যতটা উত্সাহ দেখা গেছে, সেই তুলনায় ডিএনসিসির মেয়র পদের উপনির্বাচন নিয়ে আগ্রহ ছিল কম। বেশির ভাগ ভোট কেন্দ্রে আতিকুল ইসলাম ছাড়া অন্য মেয়র প্রার্থীদের এজেন্ট পাওয়া যায়নি। মেয়র পদে বিরোধী দল থেকে শক্তিশালী কোনো প্রার্থী না থাকায় ভোটার আগ্রহে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে জানান সংশি্লষ্টরা। এ ক্ষেত্রে বৈরী আবহাওয়াও প্রভাব রাখে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তত্পরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোট উপলক্ষে রাজধানীতে গাড়ি চলাচল ছিল সীমিত।
তবে এই নির্বাচনে সব মিলিয়ে ৫০ শতাংশ ভোট পড়তে পারে বলে ভোট গ্রহণ শেষে জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
সারাদিন ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যার পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ডিএনসিসির বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম। মহানগর নাট্যমঞ্চে ডিএসসিসির সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) কাউকে লিখিত অভিযোগ করতে দেখা যায়নি।
অবশ্য ভোট গ্রহণে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়ী করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে ভোটার না আসার দায় নির্বাচন কমিশনের নয়। এ দায় রাজনৈতিক দলগুলোর এবং প্রার্থীদের। বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ শুরুর প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে আইইএস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএনসিসিতে মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শাফিন আহমেদ (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান (আম), প্রগতিশীল গণতানি্ত্রক দলের (পিডিপি) শাহীন খান (বাঘ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রহিম (টেবিল ঘড়ি)।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাকি তিন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান পেয়েছেন ২,৮৭৬ ভোট; প্রগতিশীল গণতানি্ত্রক দলের (পিডিপি) শাহীন খান ২৮৭৩ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রহিম ৩৩১১ ভোট পেয়েছেন। ঢাকা উত্তর সিটিতে ভোটারের সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। ভোট কেন্দ্র ১ হাজার ২৯৫টি ও ভোটকক্ষ ৬ হাজার ৪৮২টি।
অপরদিকে উত্তর সিটিতে যুক্ত হওয়া ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১২৫ জন ও সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ২৪ জন প্রার্থী ছিলেন।
ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর ইসির পক্ষে পেৌনে পাঁচটার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে সচিব বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং সমপ্রসারিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচন এবং একই সঙ্গে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সমপ্রসারিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অত্যন্ত শানি্তপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। তিনি জানান, ঢাকার দুই সিটি ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন পেৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদেও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। কোথাও কোনো কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়নি।
ভোটারের উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু এটা উপনির্বাচন ও মেয়াদ আছে বছরখানেক এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীও তেমন নেই, স্বাভাবিকভাবে ভোটারদের হয়তো আগ্রহ কম থাকতে পারে। কিন্তু যেসব ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে ভোটারদের উপস্থিতি বেশ ভালো ছিল। এমনকি ঢাকার বাইরে তিনটি পেৌরসভা নির্বাচনেও ভোটার উপস্থিতি বেশি ছিল। ঢাকার দুই সিটিতে প্রায় ৫০ শতাংশ ও পটুয়াখালী পেৌরসভা নির্বাচনে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে আশা করছি।
সরেজমিন দেখা গেছে, অন্যান্য সাধারণ নির্বাচনের মতোই সকাল ৮টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয়সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতিতে নির্ধারিত কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। যথারীতি প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোট গ্রহণ সংশি্লষ্ট কর্মকর্তা ছিলেন। বিভিন্ন দলের পোলিং এজেন্ট কমবেশি ছিল। আগাম মৌসুমি বৃষ্টির কারণে ভোটের দিনের সকালটি ছিল বৃষ্টস্নিাত। হিমেল হাওয়ার পরশে শীতল সকালে ভোটার উপস্থিতি কমই ছিল। দুপুরের দিকে এই দৃশ্য কিছুটা পাল্টে যায়। বিশেষ করে যেসব এলাকায় কাউন্সিলর পদে নির্বাচন ছিল, সেসব স্থানে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে দুপুর থেকে ভোটারদের লাইন দীর্ঘ হতে থাকে।
ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম নিজেও স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি রাজধানীর হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন। ভোট দেয়ার পর তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, এ কেন্দ্রে তুলনামূলকভাবে ভোটার কম। এখানে শুধু মেয়রের ভোট রয়েছে। যেসব এলাকায় কাউন্সিলরদের ভোট রয়েছে, তাতে উপস্থিতি ভালো হবে।’
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে ভালো হতো। এরপর তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, আমি কথা দিচ্ছিনৌকার জয় হলে আমরা সবাই মিলে সুস্থ ও গতিশীল ঢাকা গড়ে তুলব।’
অন্য মেয়র প্রার্থীরা যা বললেন : নির্বাচনী বিজয়ী প্রার্থীর নিকটতম জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যান্ডশিল্পী মোহাম্মদ শাফিন আহমেদ ১২টা ১০ মিনিটে গুলশানের মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন। ভোট দেয়ার পর তিনি বলেন, বিগত কয়েকটি নির্বাচনে অনেক অনিয়ম হয়েছে।
তাই সাধারণ মানুষ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। ভোটাররা নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ভোটাররা হয়তো মনে করছেন তাদের ভোটের কোনো মূল্য নেই। এ কারণেই ভোটাররা নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে আসতে চাইছেন না। ভোটারদের অনুপস্থিতি লক্ষণীয়ভাবে কম, আশানুরূপ ভোটার ভোট কেন্দ্রে আসেননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কোনো কোনো জায়গায় সুষ্ঠু হচ্ছে। আবার কোনো কোনো জায়গায় অনিয়ম হচ্ছে। সারাদিনের পর্যবেক্ষণ দেখে গণমাধ্যমের সঙ্গে বিস্তারিত জানানো হবে।
ভোট গ্রহণ চলাবস্থায় এ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন বাকি তিন প্রার্থীও। মিরপুরের ভাসানটেক উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রহিম সাংবাদিকদের বলেন, আমি যখন ভোট কেন্দ্রে আসি, তখন কেন্দ্র ছিল ভোটারশূন্য।
এ কেন্দ্রে আমিই প্রথম ভোট দিয়েছি। গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রভাব পড়েছে এখানে। আগে যেভাবে ভয়ের মধ্যে ছিল, এখনও ভোটারদের মাঝে ভয় রয়ে গেছে। তবে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে এ উপনির্বাচনে কোনো অনিয়ম দেখেননি বলে জানান তিনি। এ প্রার্থী আরও বলেন, আমি ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে চেয়েছি; এজেন্ট দিতে চেয়েছি। কিন্তু এজেন্ট হতে রাজি না অনেকে। আতঙ্ক কাটেনি ভোটারদের মধ্যে।
এনপিপির প্রার্থী আনিসুর রহমান দেওয়ান সকাল সাড়ে ১০টায় ভোট দেন নয়াটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছেন, আমার কেন্দ্রে ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। আমার ভোটকক্ষে আমি সম্ভবত দ্বিতীয় বা তৃতীয় ভোটার। তিনি বলেন, ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে। সবাই আছে, শুধু ভোটার কম। বৈরী আবহাওয়ার কারণে জনগণের ভেতরে আগ্রহ নেই। আমি ১৫-২০টি কেন্দ্র ঘুরেছি, সবখানে একই অবস্থা।
পিডিপির প্রার্থী শাহীন খান দুপুর ১২টায় রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কম। আমার কেন্দ্রে ১৫তম ভোটার হিসেবে আমি ভোট দিলাম। উপনির্বাচন নিয়ে আগ্রহও নেই মানুষের। তবে কাউন্সিলরদের ভোটে যেখানে সেখানে বেশ আমেজ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হক ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর মারা গেলে এ পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এ সিটিতে উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আদালতে দুটি রিট আবেদন করা হলে ওই সময়ে নির্বাচন স্থগিত করেন আদালত। পরে রিট দুটি খারিজ হওয়ার পর ২২ জানুয়ারি পুনরায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির তফসিল ঘোষণা করে ইসি।
আতিকুল ইসলামের জীবনী : আতিকুল ইসলাম বাংলাদেশের একজন বিশষ্টি ব্যবসায়ী। তিনি ১৯৬৯ সালের ১ জুলাই কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৫ সালে আতিকুল ইসলাম তৈরি পোশাক খাতে ব্যবসা শুরু করেন।
দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছেন ইসলাম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। তিনি ২০১৩-১৪ মেয়াদে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমিএ) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
নবনির্বাচিত এই মেয়রের বাবা ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। তারা পাঁচ ভাই ও ছয় বোন। তিনি সবার ছোট। ১১ ভাইবোনের মধ্যে তার এক ভাই বিচারপতি তাফাজ্জল ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি। তার আরেক ভাই অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মঈনুল ইসলাম।
সূত্রঃ যুগান্তর