নাঙ্গলকোটে খেলা নিয়ে দু’গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষ আহত-১৫
মো. ওমর ফারুকঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ক্রিকেট খেলার নো-বলকে কেন্দ্র করে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দু’গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আদ্রা উত্তর ইউপির মেরকট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই এলাকার ৪টি বসত বাড়ী ও ১টি দোকান ঘর ভাংচুর করে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে আনে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আদ্রা ঊত্তর ইউপির মেরকট দক্ষিণ পূর্ব পাড়া মাঠে একটি নাইট সর্ট পিস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলার আয়োজন করেন মেরকট গ্রামের রংধনু একতা ক্লাবের সদস্যরা। প্রথম থেকে ভালো ভাবে চলছে আসছিল এ টুর্নামেন্ট খেলা। মঙ্গলবার রাতে আদ্রা গ্রামের আকিল ক্লাব বনাম মেরকট গ্রামের আলা উদ্দিন স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যে তৃতীয় রাউন্ডের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষের দিকে আকিল ক্লাব একটি নো-বলের আবেদন করেন। খেলার পরিচালক (আম্পেয়ার) নো-বল না দেওয়া উভয় ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে কথা কাটা-কাটি হয়। এক পর্যায়ে আদ্রা গ্রামের আকিল ক্লাবের সদস্যরা নিজ গ্রামের গিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য মৃত. আব্দুর রহমানরে বাড়ির মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকবল জড় করে মেরকট গ্রামবাসির উপর হামলা চালায়।
এ সময় মেরকট গ্রামের আজাদ হোসেন বদির মুদি দোকান ঘর, সাথী আক্তারের বসত বাড়ী, রবিউল হকের বাড়ীর টিনের বেড়া, আদ্রা গ্রামের প্রবাসি বুনাই আমিনের টিনের বেড়া ও আব্দুল গফুরের বাড়ী ঘর ভাংচুর করে।
এ ঘটনায় মেরকট গ্রামের আলী আহাম্মদ তার স্ত্রী জাহানারা বেগম, দেলোয়ার হোসেন, রেহানা আক্তার, সেলিম, রাসেল, রাকিব, এমরান, লোকমানসহ আন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আশংকা জনক অবস্থায় আলী আহাম্মদ তার স্ত্রী জাহানারা বেগমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে আলী আহাম্মদের ছেলে ব্যবসায়ী আজাদ হোসেন বদি বলেন, আদ্রা গ্রাম থেকে ২-৩শ লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তার দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয় ভাংচুর করে।
তিনি আরো বলেন, আমি মেরকট গ্রামের একটি বাড়ী, একটি খামার প্রকল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। মঙ্গলবার বিকেলে সমিতির সদস্যদের থেকে ঋণের মাসিক কিস্তির ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করে দোকানের ক্যাশে রাখি। হামলাকারিরা ওই টাকা ও ৩২ ইি এলইডি একটি টিভিসহ মনোহারি মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
আলা উদ্দিনের স্ত্রী সাথী আক্তার, বলেন তার ঘরে ডুকে গালমন্দ করে বসতঘর ভাংচুর করে স্বর্ণাঅলংকার নিয়ে যায় হামলাকারিরা।
ইউপি সদস্য ও রংধনু একতা ক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুনার পর আমি থানায় ফোন করি। পুলিশ আসার আগে বাড়ীঘর, দোকানপাট ভাংচুর করে লুটপাট চালায় আদ্রা গ্রামের লোকজন।
আদ্রা উত্তর ইউপির সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া বলেন, মেম্বার মোস্তাফিজুর রহমান আমাকে ফোন করে ঘটনাটি জানিয়েছে। সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে লোকজন নিয়ে চলে আসি ও পরিবেশ শান্ত করি।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম পিপিএম জানান, এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। দু’গ্রাম বাসি লোকজন স্থানীয় ভাবে বসে ঘটনাটি মিমাংসা করার চেষ্টা করছেন।