কুমিল্লা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ক্ষোভ ঝাড়লেন কেন্দ্রীয় নেতারা
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের নিষ্প্রাণ সম্মেলন দেখে চরম বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সম্মেলনের দুরাবস্থা দেখে কেন্দ্রীয় নেতারা কমিটি ঘোষণা না করেই ঢাকায় ফিরেছেন। সম্মেলনে কমিটি ঘোষণা না করায় কিছু নেতাকর্মী রাস্তায় গড়াগড়ি খেয়েছেন। এমন সম্মেলন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা ও ক্ষোভের ঝড় বইছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ৮ বছর পর এই প্রথম আয়োজন করা হয় মহানগর আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। গত বৃহস্পতিবার মহিলা আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ তড়িঘড়ি করে কোন প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই কুমিল্লা নগরীর একটি কমিউিনিটি সেন্টারে সম্মেলন আহ্বান করে। কিন্তু সেই আহ্বানে সাড়া মেলেনি তৃণমূলের বেশিরভাগ নেতাকর্মীদের।
কুমিল্লা মহানগরের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩টি ছাড়া বাকিগুলো থেকে নেতাকর্মীদের ৫ ভাগও উপস্থিতি হয়নি। সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাত মহিলা কাউন্সিলর পর্যন্ত সম্মেলনের খবর জানতেন না। মিডিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদেরও কেউই জানেন না সম্মেলনের বিষয়ে। সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিতি সন্তোষজনক না হওয়ায় বেলা সাড়ে ১২টায় চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে তা শুরু হয়।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সাফিয়া খাতুন, প্রধান বক্তা সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক, কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে দলের সহসভাপতি ইয়াসমিন হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রুখসানা ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া বেগম ইভা এসব অব্যবস্থাপনায় বিরক্তি প্রকাশ করেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা। সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জোবেদা খাতুন পারুল।
মাহমুদা বেগম কৃক জানান, ২৭ ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র তিনটি ওয়ার্ড থেকে লোক এসেছে। আর বাকিগুলো থেকে মনে হয় আসেইনি। বেশি করে লোক আসতে হবে। যারা দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করছে, কিন্তু পদপদবি পাচ্ছে না, তাদের বিষয়টি প্রাধান্য দেবো, বিবেচনায় রাখবো।
প্রধান অতিথি সাফিয়া খাতুন বলেন, কুমিল্লায় যখনই কমিটি করার কথা বলি তখনই হতাশ হয়ে যাই। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কোন কমিটি ঘোষণা হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচনা করে কমিটি দেয়া হবে। কোন রকম দলাদলি আমরা দেখতে চাই না। কোন পকেট কমিটি দেবো না।
সম্মেলন শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গাড়িতে উঠে বসলে মহিলা আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী গাড়ির সামনে রাস্তায় গড়াগড়ি শুরু করেন এবং কমিটি ঘোষণার দাবি জানান। তাদের এ আচরণ পথচারি ও সাধারণ মানুষের হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়ায়।
সূত্রঃ বিডি প্রতিদিন