ব্রাহ্মণপাড়ায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি” মরিচের দাম ৩ গুণ, শশার দাম দ্বিগুনেরও বেশি

আশিকুর রহমানঃ গতকাল মঙ্গলবার পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিন থেকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সদর বাজারসহ বিভিন্ন বাজার হাটে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে অধিকাংশ পণ্য বর্তমান বাজারে ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। অর্থলোভী ব্যবসায়ী’রা কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকার অধিক বেশি দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন’ প্রতিটি পণ্য এমনটাই শুনা যাচ্ছে। ফলে নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়েছে বাজার। মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশ, হাজারও অভিযোগ রয়েছে খুচরা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
সরজমিনে ঘুরে উপজেলা সদর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে পেয়াজ প্রতি কেজি দেশী ২০ থেকে ২৫ টাকা, রসুন দেশী ৪০ থেকে ৭০ টাকা, রসুন ইনডিয়ান ৮০ টাকা থেকে পর্যাক্রমে ১২০ টাকা, মুশুরী ডাল ৬০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, কাচাঁ মরিচ ৩০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, শসা ১৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা, শসা দেশী ৫০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ২৫ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ৮০ টাকা, টমাটো ২০ থেকে ৪০ টাকা, আলো ১৩ থেকে ২০ টাকা, ডেরস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গরুর মাংস ৫০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা, পোল্ট্রি মুরগ ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, কক মুরগ ২০০ থেকে ২৪০, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, বটবটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, দুধের কেজি ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়াও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যপক হারে।
মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে টানটান বাকবিতন্ডা চলছে।
নাম না জানা শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানায়, তাদের পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী ক্রয় করতে হয়। দাম বেশি দিয়ে পাইকারী বাজার থেকে কিনে নিয়ে খুচরা বাজারে বিক্রি করে মূল্য বেশি না পেলে লোকসান খেতে হয় তাদের।