কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কৃষিজমিতে চলছে ইটভাটা নির্মাণ
মো. আরিফুর রহমান মজুমদারঃ কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৬নং ঘোলপাশা ইউনিয়নের নারায়নপুর-যশপুর গ্রামের রাস্তার পাশে কৃষি জমি ভরাট করে অবৈধ ভাবে (খাদিজা বিক্সফিল্ড) এর নির্মাণ কাজ চলছে। এদিকে হাড়িসর্দার-বসন্তপুর রাস্তার পাশে (আমেনা বিক্সফিল্ড) নামে আরো একটি নতুন ইটের ভাটার কাজ চলছে। তদারকি কর্তৃপক্ষের শিথিল নজরদারির সুযোগে কোনো ধরনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ইটভাটা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৬নং ঘোলপাশা ইউনিয়নের নারায়নপুর-যশপুর গ্রামের রাস্তার পাশে কৃষি জমি ভরাট করে অবৈধ ভাবে (খাদিজা বিক্সফিল্ড) এর নির্মাণ কাজ চলছে। এদিকে হাড়িসর্দার-বসন্তপুর রাস্তার পাশে (আমেনা বিক্সফিল্ড) নামে আরো একটি নতুন ইটের ভাটার কাজ চলছে। এর মধ্যে সরকারি অনুমোদন ছাড়ায় অনেক গুলো ইটেরভাটা গড়ে উঠেছে। যার মধ্যে বৈধ ইটের ভাটা রয়েছে হাতে গণা কয়েকটা। তার পরেও নজরদারির অভাবে কোনা ধরনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নতুন করে গড়ে উঠছে ইটের ভাটা গুলো। ২০১৩সালে সর্বশেষ সংশোধন হয়েছে ইটের ভাটা স্থাপন আইন, এর পরও এখনো শত শত ইটের ভাটা বেআইনিভাবেই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে ইটভাটার মালিকরা। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৪নং শ্রীপুর ইউনিয় পরিষদের সর্ব দক্ষিণের যশপুর-নারায়নপুর গ্রামের রাস্তার পাশে (খাদিজা বিক্সফিল্ড) এবং হাড়িসর্দার-বসন্তপুর রাস্তার পাশে (আমেনা বিক্সফিল্ড) নামের ইটের ভাটা। যেগুলো আইনকে তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গড়ে উঠেছে।
অবৈধ ভাটা শুধু পরিবেশ দূষণই করছে না, কমিয়ে দিচ্ছে ফসলী জমির উর্বরতাও। ইটের ভাটা চলমান থাকলে পার্শ্ববর্তী ফসলের জমি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা তার প্রাকৃতিক ভারসাম্য হারায় বলে জানান পরিবেশবিদরা। ইটভাটার নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী নদীর পাশে, লোকালয়ের পাশে কোনো ধরনের ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। নিয়মানুযায়ী ভাটাগুলোতে সহনীয় মাত্রায় কম সালফারযুক্ত কয়লা ব্যবহার করার কথা। পরিবেশবান্ধব ১২০ ফিট চিমনি তৈরির বিধান থাকলেও অধিকাংশ ভাটায় তা মানা হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোনো ধরনের নিয়ম অনুসরণ না করে রাস্তা, নদী ঘনবসতি লোকালয়ের পাশে গড়ে উঠেছে অধিকাংশ ইটভাটা। পরিবেশ আইন অনুযায়ী কিছুই চোখে পরেনি ইট ভাটায়। স্থানীয় এলাকাবাসি জানান, যশপুর গ্রামের ভিতর দিয়ে নারায়নপুরের রাস্তাটি পাকা পর্যন্ত হয় নাই তাহাঁর ভিতর রাস্তার বেহাল দশা। সাধারণ মানুষ ট্রাক্টর আসা যাওয়ার কারণে হাটতে কষ্ট হয়। ছোট বাচ্চারা স্কুল, মাদ্রাসায় যেতে ভয় পায়, কখন ট্রাক্টর আসে। গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত আতংকের মধ্যে আছে। যশপুর ও নারায়নপুর গ্রামের কিছু কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় মো. আমান উল্লাহ গং এখানে এসে ইটের ভাটা নির্মাণ করে। যার দ্বারা আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হইতেছি ভবিষ্যতে আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবো। আমরা যশপুর-নারায়নপুর, কোয়াল্লা, বসন্তপুর গ্রামের নিরীহ মানুষগুলো আশা করি-স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানও প্রশাসনিক কর্মকর্তা বৃন্ধ আমাদেরকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করবেন।
এবিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) রবিউল হাসান জানান, যারা অবৈধ ভাবে কৃষি জমি ভরাট করে বিক্সফিল্ড নির্মান করতেছে আমরা খোজ খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।