কুমিল্লায় গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা সব চাইতে বেশী
ডেস্ক রিপোর্টঃ গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় দেশের সব জেলা থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যাক মুক্তিযোদ্ধা কুমিল্লার মাটিতে জন্মগ্রহন করেছেন। যারা সংখ্যা ৭ হাজার ১৮৭ জন।দেশের কোন জেলায় কতজন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন তার হিসাব দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বর্তমানে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮২৪ জন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। বৈধ মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে স্থায়ী অর্থাৎ ডিজিটাল সনদ প্রদানের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। অচিরেই দেশব্যাপী একদিনে একযোগে ডিজিটাল সনদ দেয়া হবে।’
মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ৭ হাজার ১৭, কুমিল্লায় ৭ হাজার ১৮৭, চাঁদপুরে ৩ হাজার ৫১০, নোয়াখালীতে ৪ হাজার ৩৭২, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭ হাজার ৯, ফেনীতে ২ হাজার ৪৫২, লক্ষ্মীপুরে ১ হাজার ৬১৯, রাঙ্গামাটিতে ১১১, বান্দরবানে ৭০, খাগড়াছড়িতে ৬৭৫, কক্সবাজারে ৩৫২ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
ঢাকায় ৩ হাজার ৮৪৬, টাঙ্গাইলে ৬ হাজার ৮৯৫, ফরিদপুরে ৬ হাজার ৮০৩, নরসিংদীতে ৪ হাজার ৮১, গোপালগঞ্জে ৫ হাজার ৪২৩, মুন্সিগঞ্জে ২ হাজার ২২৩, নারায়ণগঞ্জে ১ হাজার ৮৯৬, মাদারীপুরে ২ হাজার ২১৭, কিশোরগঞ্জে ৩ হাজার ৭৫৫, গাজীপুরে ২ হাজার ৯৮২, শরীয়তপুরে ২ হাজার ২০০, রাজবাড়ীতে ১ হাজার ৫৭, মানিকগঞ্জে ১ হাজার ৮৬৭ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
ময়মনসিংহে ৫ হাজার ৬১১, জামালপুরে ২ হাজার ৮৮৯, শেরপুরে ১ হাজার ৩৪৪, নেত্রকোনায় ৩ হাজার ৬৩, খুলনায় ৪ হাজার ৯২, বাগেরহাটে ৪ হাজার ৯৩, নড়াইলে ২ হাজার ১৩৮, সাতক্ষীরায় ২ হাজার ৩১৪, যশোরে ২ হাজার ৮৪৬, কুষ্টিয়ায় ৩ হাজার ১১০, চুয়াডাঙ্গায় ৪ হাজার ১১, মাগুরায় ১ হাজার ৬৪৮, ঝিনাইদহে ২ হাজার ১৬৯, মেহেরপুরে ১ হাজার ১৬১ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
পাবনায় ২ হাজার ৪৭৯, রাজশাহীতে ২ হাজার ১৬৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ হাজার ৩৩৬, বগুড়ায় ৩ হাজার ৭৫, নাটোরে ১ হাজার ৪১২, নওগাঁয় ৩ হাজার ৩৬১, সিরাজগঞ্জে ৩ হাজার ৮, জয়পুরহাটে ১ হাজার ৫৩২, রংপুরে ১ হাজার ২৪১, গাইবান্ধায় ১ হাজার ৮৭২, দিনাজপুরে ৩ হাজার ৭৭০, কুড়িগ্রামে ৩ হাজার ৬১, ঠাকুরগাঁওয়ে ১ হাজার ৬৬৯, পঞ্চগড়ে ১ হাজার ৮৭০, লালমানিরহাটে ২ হাজার ৪৫, নীলফামারীতে ৮৪০ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
হবিগঞ্জে ২ হাজার ১৬২, সুনামগঞ্জে ৩ হাজার ৭৮৬, সিলেটে ১ হাজার ৯৭৮, মৌলভীবাজারে ১ হাজার ৯৭৮, বরিশালে ৫ হাজার ৮৯২, ভোলায় ২ হাজার ১৫৩, ঝালকাঠিতে ১ হাজার ৫৪১, পিরোজপুরে ২ হাজার ৭৩৫, পটুয়াখালীতে ১ হাজার ৫৯, বরগুনায় ১ হাজার ৯২২ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।অন্যান্য গেজেটের মধ্যে শহীদ বেসামরিক ৩ হাজার ৩৭, মুজিবনগর ৬৩৬, বিশ্রামগঞ্জ ৩৭, বীরাঙ্গনা ৭৭, স্বাধীন বাংলা বেতার শব্দ সৈনিক ২৭৫, যুদ্ধাহত বেসামরিক ২ হাজার ৩৮৮, সেনাবাহিনী গেজেট ২৫ হাজার ৬১২, বিজিবি গেজেট ৯ হাজার ৮, আনসার বাহিনী ৬৮০, পুলিশ বাহিনী ৬৮৫, বিমান বাহিনী ১ হাজার ৬৯, নৌবাহিনী ৮৪৬, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ৩২, সশস্ত্র বাহিনী শহীদ ১ হাজার ৬২৭, শহীদ বিজিবি গেজেট ৪২৭, শহীদ পুলিশ গেজেট ৪১৩, খেতাব প্রাপ্ত গেজেট ৬৭৮, বিসিএস গেজেট ১ হাজার ৮ ও ন্যাপ কমিউনিস্ট গেজেট ২ হাজার ৪১৪ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।