তিতাস উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহেল সিকদারের প্রার্থীতা বাতিল
মোঃ জুয়েল রানাঃ কুমিল্লার তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকা ( প্রতীক) প্রাপ্ত মো.শাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদারের প্রার্থীতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
স্থানীয় নির্বাচন কার্যালয় বরাবর কমিশনের সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন স্বাক্ষরিত প্রেরিত প্রজ্ঞাপন সুত্রে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কয়েকটি ভোটকেন্দে বিধি বহিভূতভাবে ভোটগ্রহনের আগের রাত্রে বিভিন্ন অনিয়ম সংঘটিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কতৃক ৩(তিন)সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
উক্ত তদন্ত কমিটি ২৯/৩০ এপ্রিল দুই দিন ব্যাপী তদন্ত শেষে দাখিল কৃত তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত তিতাস উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. শাহিনুল ইসলাম (সোহেল শিকদার) কতৃক সাধারণ ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং নির্বাচনি বিধি-বিধান পরিপন্থী কার্যকলাপসহ ব্যালট ছিনতাই, জালভোট প্রদান ও নানাবিধ অনিয়মের সঙ্গে জরিত থাকার প্রমাণিত হওয়ায় মাননীয় নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ৮৯ অনুসারে চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জনাব মো.শাহিনুল ইসলাম এর প্রার্থীতা এতদ্বারা বাতিল করেছেন।
এবিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন ও তিতাস উপজেলা নির্বাচন অফিসার(অতিঃদাঃ)মোঃ ফারুক হোসেন এর নিকট জানতে চাইলে সাংবাদিকদের জানান আমাদের নিকট শাহিনুল ইসলামের প্রার্থীতা বাতিলে চিঠি এসেছে। পরবর্তী সিদ্বান্ত মাননীয় নির্বাচন কমিশন নিবেন।
সোহেল শিকদারের ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ লালন শিকদার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কি কারনে প্রার্থীতা বাতিল করেছে বিষয়টি আগে কমিশনের কাছ থেকে জেনে নেই। যদি আইনি সহযোগিতা পাবার কোনো সুযোগ থাকে তাহলে উচ্চ আদালতে আইনি সহযোগিতা চাইব।
উল্লেখ ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৩০ শে মার্চ ২০১৯ইং অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা (প্রতিক) নিয়ে তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তাহার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ হোসেন সরকার স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিক(আনারস) দুপুর আনুমানিক ২টায় সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন এবং নির্বাচন বন্ধের দাবিতে রিটারনিং কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করলে, স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করে।
বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩ টায় কমিশনের নির্দেম ক্রমে উপজেলার ৪৬ টি কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করে স্থানীয় প্রশাসন। নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনায় সোহেল শিকদারের নামে থানায় একাধিক মামলা হয় এবং ৮ এপ্রিল রাতে ঢাকা থেকে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সোহেল শিকদারকে গ্রেফতার করে।বার্তমানে সোহেল শিকদার দুটি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় কারা বন্ধী আছেন।