কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টরের বই জালিয়াতি
ডেইলিকুমিল্লানিউজ ডেস্কঃ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং নিয়ে একজন প্রকৌশলীর লেখা বইয়ের বড় একটি অংশ হুবুহু নকল করে নিজের নামে বই ছেপেছেন কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষক।
তিনি এখন ওই বই নিজের প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি পরিচিতজনদের মাধ্যমে অন্যান্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বইটি নকল করার কথা স্বীকার করে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহবুব আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসলে অনলাইনে আজকাল অনেক জিনিস পাওয়া যায়। সেটা কারও সঙ্গে মিলে গেলে তো কিছু করার থাকে না।”
বইয়ের ওই অংশ অনলাইন থেকে নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তার সরাসরি উত্তর দেননি এই শিক্ষক।
গত অগাস্টে হক পাবলিকেশন্স থেকে ‘প্রোগ্রামিং এসেনশিয়ালস্’ নামে মাহবুবের এই বই প্রকাশিত হয়। এর ১২টি অধ্যায়ের ৬টি অধ্যায়ই ‘সহজ ভাষায় পাইথন ৩’ নামে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং নিয়ে গত বইমেলায় আদর্শ পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত একটি বইয়ের নকল।
আদর্শ পাবলিকেশন্সের প্রকাশক মাহবুবুর রহমান বলেন, “নতুন প্রজন্মের কাছে প্রোগ্রামিংয়ের ধারণা আরও বিস্তর করতে বইমেলায় বইটি প্রকাশ করা হয়েছিল। ওই বই থেকে মেরে দিয়ে এখন নকল বইটি পলিটেকনিকে পাঠ্য হিসেবে পড়ানো হচ্ছে বলে আমরা জেনেছি।”
এই ঘটনাকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নকল বইয়ের প্রকাশক, লেখক ও শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হলেও তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি বলে আদর্শ পাবলিকেশন্সের মাহবুব জানান।
মূল বইয়ের লেখক মাকসুদুর রহমান মাটিন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে লেখাপড়া করেছেন।
মাহবুব আলমের বই নকল নিয়ে তিনি বলেন, “উনার ৬টি চ্যাপ্টারেই আমার বইয়ের ছাপ আছে। এর মধ্যে ৩টি অধ্যায় হুবহু নকল। বলতে পারেন কার্বন কপি। হুবহু লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে।
“উনাকে বলেছি এগ্রিমেন্টে আসেন। তিনি রাজি হননি। তবে নতুন করে ছাপবেন না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। বরং বিভিন্ন রকম মিথ্যা বলে যাচ্ছেন। উনি বলে বেড়াচ্ছেন আমার সাথে মিটমাট হয়েছে, এটা ঠিক নয়।”
সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪