কুমিল্লার বাঙ্গরায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে স্মরণ করলো ‘ঐতিহ্য কুমিল্লা’
কুমিল্লার বাঙ্গরায় এই প্রথম বাংলা ভাষার প্রাণপুরুষ শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে স্মরণ করেছে ‘ঐতিহ্য কুমিল্লা’। মহান সহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে স্মরণ উপলক্ষে সামাজিক সংগঠন ‘ঐতিহ্য কুমিল্লা’ এর উদ্যোগে শুক্রবার বিকেলে আয়োজন করা হয় নানান অনুষ্ঠান মালা। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো ডকোমেন্টারি প্রদর্শন এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১৯১০ সালের ১ মার্চ বাংগরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। সূদীর্ঘ ১০৯ বছর ধরে এখানে শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে স্মরণ করা হয়নি। এই প্রথম বারের মতো ‘শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের কর্মময় জীবন: বাংগরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গণপরিষদ’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় সামাজিক সংগঠন ‘ঐতিহ্য কুমিল্লা’র পক্ষ থেকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ। দেরীতে হলেও এধরনের উদ্যেগ গ্রহণ করায় ‘ঐতিহ্য কুমিল্লা’ ও এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালককে ধন্যবাদ জানান তিনি এবং এর ধারাবাহিকতা রক্ষারও অনুরোধ করেন।
বাংগরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ‘ঐতিহ্য কুমিল্লা’ এর পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল, সমন্বয়ক হালিম সৈকত, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবু রহমান সেলিম।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে নিয়ে গবেষণা ও গণমাধ্যমে বিশেষ ভুমিকা রাখায় বাঙ্গরাবাজার প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ‘ঐতিহ্য কুমিল্লা’র প্রতিষ্ঠিাতা ও পরিচালককে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
১৮৮৬ সালের ২ নভেম্বর বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রামরাইল গ্রামে জš§গ্রহণ করেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। ১৯৫৪ সালে তিনি প্রথম পাকিস্তান আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথমবার তিনি পাকিস্তান মন্ত্রীসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের কল্যাণে আজ আমরা মায়ের ভাষায় প্রাণখুলে কথা বলতে পারছি তারই গোড়াপত্তন করেন কালজয়ী মহান ব্যাক্তি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
বাঙ্গরাবাজার প্রেসক্লাব ও বাংগরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয় সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষক শাহনূর আলম খানের স ালনায় উপস্থিত ছিলেন বাঙ্গরাবাজার প্রেসক্লাবের সদস্য ওবায়দুল্লা অবিদ, জুমান আলী, ওয়াহিদুজ্জামান দিপু আহমেদ, আলম সামস্, সাজ্জাদ হোসেন শিমুল, শেখ সাইদুল ইসলাম এবং রবিউল হক হিমুসহ সাংবাদিক, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোক।