কুমিল্লার বুড়িচংয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, আহত ৫
করোনা আতঙ্কের মধ্যে হানা দিলো কালবৈশাখী ঝড়, বুধবার বিকেলে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অন্তত ৫০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া ঝড়ে গাছ-পালা, বিদুতের খুটি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, দেলোয়ার হোসেন মুহুরীর বাড়ীর ৪ টি ঘরের উপর গাছ উপড়ে পরে আছে। টিনের চালা ঝড়ে উড়ে গেছে। ঘরের মধ্যে থাকা আক্তার হোসেন ও তাঁর ছেলে শাওন আহত হয়।
এদিকে একই গ্রামের মালি বাড়ীতের ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই বাড়ীর স্বপন মালি, খোকন মালি ও কবির হোসেনের ঘরের উপর গাছ পড়ে ৫ টি ঘর সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে। এতে ওই বাড়ীরর ২ জন আহত হয়।
একই ইউনিয়নের কাবিলা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ১৪ টি মোরগীর সেট সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে। মোরগীর সেটের টিনের চালা পাশর্^বর্তী পুকুরে পড়ে আছে।
এছাড়া নিমসার সবজী বাজারের হারুন মিয়া, জালাল মিয়া ও মাসুমের ২৫টি আড়ৎতের টিনের চালা উড়ে গেছে।
অন্যদিকে উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ষোলনল মধ্যপাড়া এলাকার শিরু মিয়া, ইউনুস মিয়া ও পেরু মিয়ার বশত ঘরের উপর গাছ পরে ভেঙ্গে গেছে।
বাকশীমূল ইউনিয়নের বলারমাপুর গ্রামের মোঃ কবির হোসেন মাষ্টার এর একটি মোরগীর খামার ভেঙ্গে দেড় হাজার মুরগীসহ পুকুরের পানিতে পাড়ে যায়। এতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
কালবৈশাখী ঝড়ের ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে বিদুৎ সর্বরাহ বন্ধ রয়েছে।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরুল হাসান জানান, রোববার বিকেলে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ে বুড়িচং উপজেলার বেশ কয়েটি ইউনিয়নের ঘর-বাড়ী, গাছ-পালা ও বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সহায়তা প্রদান করা হবে।