কৃষকের ধান কেটে দিলেন কুমিল্লা সোনার বাংলা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
মাঠে পেকে আছে ধান। পরিপুষ্ট ধানের ছড়ায় হাত বুলায় কৃষক দুলাল মিয়া। করোনায় লকডাউন চারদিক। কৃষি শ্রমিক পাচ্ছেন না। স্বপ্নের ফসল গোলায় তুলবেন কি করে। তা নিয়ে দুঃচিন্তায় কপালের ভাঁজ প্রসারিত হতে থাকে। তবে কৃষক দুলাল মিয়ার কপালের ভাঁজ প্রসারিত হতে দেন নি কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার সোনার বাংলা কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। আজ রবিবার সকাল ১০ টায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা মিলে কৃষক দুলাল মিয়ার ৫০ শতক জমির ধান কেটে দিলেন। হাসি ফুটলো কৃষক দুলার মিয়ার মুখে।
কৃষক দুলাল মিয়া বলেন, করোনার কারনে শ্রমিক পাচ্ছিলেন না। আমার জমিটি কলেজের পাশে। কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ স্যার বিষযটি খেয়াল করলেন। আমাকে ডেকে বিষয়টি শুনলেন। পরে কলেজের অন্য স্যার ও ছাত্রদের নিয়ে আমার জমির ধান কেটে দেন। এখন বৃষ্টি সময়। এই মুহূর্তে ধান কাটতে না পারলে ফসল নষ্ট হতো। সেলিম রেজা সৌরভ স্যার অনেক বড় উপকার করলেন।
সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজা সৌরভ জানান, এখন করোনা সংক্রমনের এই সময়ে আমাদের ক্রান্তিকাল চলছে। সোনার বাংলা কলেজ শিক্ষা প্রসারেই শুধু নয় সামাজিক কাজেও দায়বদ্ধ। তারই অংশ হিসেবে রবিবার সকাল দশটায় কলেজের ৯ জন শিক্ষক, ৯ জন কর্মচারী এবং ১০ জন শিক্ষার্থী মিলে অসহায় কৃষক দুলাল মিয়ার প্রায় ৫০ শতক জমির পাকা ধান কেটে দেই। ধান কাটায় অংশগ্রহন করেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারি অধ্যাপক মোঃ মাসুদ পারভেজ, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রভাষক মোঃ আনোয়ার হোসেন, পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মোঃ ফিরোজ মিয়া, বাংলা বিষয়ের প্রভাষক মোঃ সাইদুর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মোঃ রাশেদুর রহমান, শরীরচর্চা শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, জীববিজ্ঞান বিষয়ের প্রদর্শক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, রসায়ন বিষয়ের প্রদর্শক মোঃ আব্দুস ছালাম। কর্মচারীদের মধ্যে মোঃ মহসীন, মোঃ ফয়সাল, মোঃ আছাদুর রহমান মোহন, নাছির উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, মোয়াজ্জেম হোসেন, নাইমুর রহমান রোমান, আনিছুর রহমান, আবুল কাশেম প্রমুখ।