বুড়িচংয়ে পাগলা কুকুরের কামড়ে শতাধিক লোক আহত
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ছয়গড়িয়া, রামনগর,পূর্ব হুড়া,ইছাপুড়া,ভরাসার, মহিষমারা, খাড়াতাইয়া গ্রাম ৬-৭ টি গ্রামে গত দুই দিন একটি পাগলা কুকুরে তান্ডব চালিয়ে প্রায় শতাধিক নারী পুরুষ ও শিশুকে কামড়িয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। আহতদের কে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় পাগলা কুকুরটিকে ইছাপুরা গ্রামের আক্তার হোসেন মেম্বার ও পয়াত গ্রামের বাদল খা মেম্বারের নেতৃত্বে স্হানীয় লোকজন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
স্হানীয় সূত্র,উপজেলা ছাত্র লীগ নেতা সোলেমান জানায় কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়ন এর ছয়গড়িয়া গ্রামে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় হঠাৎ উসমান গনির বাড়ির রাশেদ মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১২) স্কুল ছাত্রীকে প্রথম কামড়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। পরে একে একে ছয়গড়িয়া গ্রামের ১০-১২ জন কে মাগরিবের পর পর্যন্ত কামড়ে আহত করে। এর ওই বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন গ্রামে পাগলা কুকুরটি দৌড়ে দৌড়ে যাকে যেখানে পেয়েছে সেখানে তাকে কামড়ে পালিয়ে গেছে। অনেক মানুষের পাযে কামড়ে মাংস উঠিয়ে নিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কুকুরটি ৬-৭ টি গ্রামের শতাধিক লোক জন কে কামড়ে আহত করেছে। বৃহস্পতিবার আহতদের কে রাতে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। শুক্রবার বেলা১১ টায় স্হানীয় লোকজন কুকুর টি কে ইছাপুরা গ্রামে ঘেরাও করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা মোঃ মীর হোসেন মিঠু বলেন একটি পাগলা কুকুরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৬-৭ টি গ্রামের লোকজন কামড়ে আহত করেছে। বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় ২০ জনের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ লোকের সেলাই করা হয়েছে। প্রত্যেককে ভেকসিন দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যপারে বুড়িচং থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক পিপিএম বলেন খবরটি স্হানীয় জন প্রতিনিধি ও সাধারণ লোকের মাধ্যমে পেয়েছি। পাগলা কুকুরটিকে আটকের বিষয় বলছি এবং বন বিভাগের সাথে যোগাযোগের সময় শুনলাম স্হানীয় লোকজন কুকুর কে মেরে ফেলেছে।