চৌদ্দগ্রামে কাউন্সিলর ও ইউপি মেম্বারসহ ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার কাউন্সিলর মোখলেছ মিয়া ও মুন্সীরহাট ইউনিয়নের মেম্বার সাহাব উদ্দিন মজুমদার রানাসহ ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তারমধ্যে পৌরসভার ৬ জন, মুন্সীরহাট ইউনিয়নের ৬ জন, চৌদ্দগ্রাম বাজারে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের ১জন টেকনোলজিস্ট ও নাঙ্গলকোট উপজেলার ১ জন।
এনিয়ে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র, তিন কাউন্সিলর, চিকিৎসক ও ইউপি সদস্যসহ ১৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারমধ্যে ৪ জন সুস্থ হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১ জন।
নতুন আক্রান্তরা চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোখলেছ মিয়া তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান, গোমারবাড়ি গ্রামের শাহজালাল, পশ্চিম ধনমুড়ি গ্রামের তাহমিনা আক্তার, লহ্মীপুর গ্রামের রফিউদ্দিন সিদ্দীকি ও সাজেদুর রহমান।
মুন্সীরহাট ইউপি সদস্য ডাকরা গ্রামের সাহাব উদ্দিন মজুমদার রানা মেম্বার, সিংরাইশ গ্রামের মাষ্টার সিরাজুল ইসলাম, যুগিরহাট গ্রামের খোরশেদ আলম, বসন্তপুর গ্রামের জোসনা আক্তার, ফেলনা গ্রামের লিজা, বারাইশ গ্রামের রেহানা বেগম। চৌদ্দগ্রাম বাজারের ফাস্ট কেয়ার হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট বেলাল হোসেন। নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা এলাকার তাছলিমা আক্তার।
গত ০৩ জুন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পরীক্ষা শেষে ১০ জুন রির্পোট পাওয়া গেছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়।এ পর্যন্ত ৮৬৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ৭০০ জনের রির্পোট পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৭ জন। তারমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪ জন ও মারা গেছেন ১ জন।
করোনা প্রতিরোধে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাসিবুর রহমান।
এদিকে নমুনা দেওয়ার পর রির্পোট পাওয়ার দীর্ঘসুত্রতায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অনেকে। তারা বলেন, নমুনা দেওয়ার পর রির্পোট আসতে ৬/৭ দিন চলে যায়। রির্পোট দেরিতে আসার কারণে অনেক আক্রান্ত ব্যক্তি অবাধে চলাফেরা করছেন। এসময় অনেক মানুষের সংস্পর্শে আসেন রোগীরা। রির্পোট আসার পর সংস্পর্শে আসা ওইসব লোকের অনেকে হয়তো জানেইনা একদিন আগে বা কিছুক্ষণ পূর্বে তিনি যে লোকটার সাথে বসে চা সিগারেট খেয়েছেন, খোশগল্প বা অফিসের কাজ করেছেন সে লোকটির রির্পোট পজেটিভ এসেছে। হয়তোবা একদিন, দুইদিন পর জানলেন যে লোকটিসহ অফিস করেছেন সে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরমাঝে হয়তো তিনিও অনেক জায়গায় গেছেন বা অনেকের সংস্পর্শে ছিলেন। এ কারণে চৌদ্দগ্রামে প্রতিনিয়তই করোনা আক্রান্তের হার বাড়ছে এবং একপর্যায়ে এ এলাকায় প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।
তাই নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা বৃদ্ধি ও রির্পোট আরো দ্রুত দেওয়ার সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোরদাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।