কুমিল্লায় ছাত্রলীগ নেতা রাজুর খুনিদের আটক-শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ ও মানবন্ধন
কুমিল্লা বরুড়া উপজেলার খোশবাস উত্তর ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আ.ন.ম মেহেদী হাসান রাজু খুনের নয় দিন পার হলেও এখনো ধরাছোয়ার বাইরে মূল আসামীরা। শুক্রবার বিকেলে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানবন্ধন করেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, গত ৩০ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে বাবা আবদুল করিমকে সাথে নিয়ে মটরবাইক যোগে বাড়ির সামনে পৌছান মেহেদী হাসান রাজু। এ সময় অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা আ.ন.ম মেহেদী হাসান রাজুকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যপূরী আঘাত করে। মেহেদী হাসান রাজু মটর বাইক থেকে মাটিতে ঢলে পরে। এ সময় মেহেদী হাসান রাজুর বাবা আবদুল করিমকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়রা বাবা ছেলেকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজুকে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় নিহত রাজুর ছোট বোন ইশরাত জাহান লাকি বাদি হয়ে অলীতলা এলাকার তালেব আলীর ছেলে গুরফান,ওই এলাকার মৃত মোতাহের হোসেনের ছেলে সোয়েব, নরসিংহপুরের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মিজান, রামমোহন এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে রুবেল, আরিফপুর এলাকার মোজাম্মেল, অলীতলা দক্ষিনের মহিউদ্দিনের ছেলে জলিলসহ আরো অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে বরুড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান রাজুর হত্যার নয় দিন পার হলেও এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে মূল আসামীরা। এ নিয়ে আজ বরুড়ার উত্তর খোশবাস ইউনিয়নের অলীতলা গ্রামবাসী আসামীদের আটক ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। মানবন্ধনে উপস্থিত খোশবাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সর্দার, খোশবাস ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য কামরুল হাসান পাটোয়ারী টুটুল বলেন, খুনের পরে নয় দিন পার হলেও পুলিশ খুনীদের সহযোগীদের আটক করলেও এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে মূল আসামীরা। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই মেহেদী হাসান রাজুর হত্যাকারীদের দ্রুত আটক ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য।