শিক্ষকের ছেলে হিসেবে নিজেকে গর্ববোধ করি – হাজী বাহার এমপি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি বলেছেন, আমাদের ঐতিহ্যের কুমিল্লা বহু আগে থেকে শিক্ষায় এগিয়ে রয়েছে। আমাদের শতবর্ষী অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যখন আমাদের এসব প্রতিষ্ঠান তৈরী হয়েছে দেশের বহু জায়গায় তখনও জ্ঞানের আলো-শিক্ষার আলো পৌঁছেনি। আমাদের বহু কৃতি সন্তান রয়েছে যারা কুমিল্লাকে এগিয়ে নিয়েছেন। কুমিল্লার ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাদের মধ্যে একজন মহেশ ভট্র। তিনি ১৯১৪ সালে ঐতিহ্যবাহী ঈশ্বর পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করে কুমিল্লাকে আলোকিত করেছেন। আজকে শতবর্ষে পদপ্রণ করেছে ঈশ্বর পাঠশালা। এক সময় ঈশ্বর পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের গৌরবের সময় পার করেছে। সময়ের আবর্তে তা হারিয়ে যেতে বসেছিল। নেতৃত্বে দুর্বলতার কারণে ঈশ্বর পাঠশালার মতো কুমিল্লার অনেক প্রতিষ্ঠানে জীর্ণদশা বিরাজ করছিল।আমি এমপি হওয়ার পর এসব প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নে হাত দিয়েছি। ধারাবাহিক কর্মকান্ডে কুমিল্লার অনেক প্রতিষ্ঠান আজ হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে ঐতিহ্যবাহী ঈশ্বর পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের শত বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি এসব কথা বলেন ।
হাজী বাহার এমপি আরো বলেন,আমাদের আমার বাবা একজন আদর্শবান শিক্ষক ছিলেন। বাবার কাছ থেকে পাওয়া সততা ও ন্যায়পরায়নতার শিক্ষা নিয়ে জীবনের সব লোভ-লালসার উর্ধ্বে উঠে মানুষের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছি। তাই শিক্ষকের ছেলে হিসেবে নিজেকে গর্ববোধ করি। তাই সবার আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করছি। নেতৃত্বে দুর্বলতার কারণে দীর্ঘদিন যাবত কুমিল্লা এগোতে পারেনি। নতৃত্বে দুর্বলতার কারণে দীর্ঘদিন যাবত কুমিল্লা এগোতে পারেনি। প্রাচীন সমতটের রাজধানী হলেও আমরা এখন বিভাগের জন্য আন্দোলন করছি। এটা কুমিল্লাবাসীর দুর্ভাগ্য।
ঐতিহ্যবাহী ঈশ্বর পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি বাবু বিঞ্চ পদ সিংহা এর সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঈশ্বর পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু শুধাংশু কুমার মজুমদার। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ে প্রাক্তন প্রায় ৩ শতাধিক ছাত্র উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট শত বর্ষ উদযাপন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। হাজী বাহার এমপি কে প্রধান পৃষ্ঠপোষক করা হয়।