কুমিল্লা সিটি কাউন্সিলর সাইফুলের মুক্তি দাবি পরিবারের
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিলের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার পরিবার। অবিলম্বে তার মুক্তি এবং কাউন্সিলরের পদ থেকে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নগরীর বজ্রপুর এলাকার সার্র্কুলার রোডের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান, কাউন্সিলর সাইফুলের মা এডভোকেট মনোয়ারা বেগম।
৪ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাইফুলের পিতা ও কুমিল্লা পৌরসভার প্রয়াত চেয়ারম্যান আবদুল জলিল কুমিল্লা পৌরসভার সকল ওয়ার্ডে উন্নয়নমূলক কাজে অনেক অবদান রেখেছেন। পিতার জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় কাউন্সিলর সাইফুল দুইবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাইফুলের মা বলেন, সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের স্বার্থে সম্প্রতি সাইফুল নারী আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এ যোগদানের পর থেকে প্রতিপক্ষরা তার মান সন্মান হেয় করতে পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে তাজিয়া মিছিলের ভিডিও ফুটেজ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অংশ বলে টিভি চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
এডভোকেট মনোয়রা বেগম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন আঞ্জুম সুলতানা সীমার হাতকে দূর্বল করতেই সাঈফুল বিন জলিলকে রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগতভাবে শেষ করে দেয়ার জন্য এ সমস্ত ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালচ্ছে। তিনি অবিলম্বে তার মুক্তি ও সাময়িক বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ওই কাউন্সিলরের স্ত্রী রোকসানা আক্তার, চাচাতো বোন সাজেদা বেগমসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রণি পেশার নারী ও পুরুষরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নগরীতে রোকন উদ্দিন নামের এক যুবলীগ কর্মীকে গাড়ি চাপায় হত্যা চেষ্টার ঘটনায় গত ১৯ মার্চ কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিলকে গ্রেফতার করে। গত ২৩ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কাউন্সিলরের পদ থেকে সাইফুল বিন জলিলকে সাময়িক বহিস্কার করে।