কুমিল্লা-৫ শুন্য আসনে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা রুমি’র সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়
কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মনপাড়া) শুন্য আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে ই”ছুক কেন্দ্রীয় যুবলীগ সহ-সম্পাদক এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি গতকাল বৃহস্পতিবার এই নির্বাচনী এলাকার গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে ময়নামতি সেনানিবাস এলাকায় হোটেল জিহান রেষ্টুরেণ্ট’এ ইফতার পূর্ব এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। সভার শুরুতেই প্রয়াত এমপি মতিন খসরু’র রুহের মাগফেরাত কামনা করে সবার কাছে দোয়া চান।
কুমিল্লার বুড়িচং-ব্রাহ্মনপাড়া সংসদীয় আসনের প্রয়াত এমপি, সাবেক মন্ত্রী,আ’লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড.আব্দুল মতিন খসরু’র মৃত্যুর পর শুন্য হওয়া আসনটির উপ-নির্বাচনে প্রার্থীতা নিয়ে দু’উপজেলার বিভিন্ন নেতাদের নাম যখন আলোচনায় তখন গতকাল বৃহস্পতিবার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হোটেল জিহান রেষ্টুরেণ্ট’এ ইফতার পূর্ব আলোচনা ও বুড়িচং-ব্রাহ্মনপাড়া’র গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন এই আসনের প্রার্থী হতে ইচ্ছুক কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি।
এসময় তিনি কিভাবে বঙ্গবন্ধু’র আদর্শে অনুপ্রানীত হয়ে আ’লীগের রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন, দলের দুর্দিনে দলের পক্ষে নিজেকে কিভাবে জড়িত রাখতে গিয়ে নির্যাতন, অত্যাচার সহ্য করেছেন তার বর্ননা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদের বুড়িচং এলাকার লোক। খুব ছোট বেলায়ই গ্রামের স্কুলের গন্ডি পেরোনের আগেই কুমিল্লা জিলা স্কুলে পড়ালেখা করতে শহরে চলে যাবার পরও গ্রামের মানুষের সাথে সুখে-দুখে ছিলেন। পরবর্তীতে লেখাপড়া শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করলেও নিজ এলাকার কথা ভুলে যাননি।
বর্তমানে এই আসনটি শুন্য হয়ে পড়ায় দেশের তথা এলাকার উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে আমার আজকের গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময়সহ নিজেকে প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দেওয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াস। তিনি বলেন, দলের নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিবেন তিনিই প্রার্থী হবেন। তবে আমারও অধিকার আছে প্রার্থীতা চাওয়ার । আমিও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। ইফতার শুরুর আগে দোয়া শেষে প্রয়াত এমপি’র আত্নার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান এহতেশামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি’র জন্ম ১৯৮৩ সালে। বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের কোরপাই মাষ্টার বাড়ির মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া’র সন্তান। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক পাঠ দান শেষে ১৯৯৪ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুলে ভর্তি হন।
এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে দীক্ষিত হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেদশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে ঢাকা কলেজ ও ২০০২/০৩ শিক্ষা বর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ২০০৯ সালে প্রথম বিভাগে এমবিএ ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি একজন নতুন শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন।
তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে কুমিল্লার বুড়িচং-ব্রাহ্মনপাড়ার জনগণের কাছে তার প্রার্থীতার বিষয়টি জানানোর অনুরোধ করে বলেন, নেত্রী যদি আমাকে এই আসনে প্রার্থী পদে মনোনয়ন দেয়,তাহলে প্রয়াত নেতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তসহ এলাকার উন্নয়নে র্ভূমিকা রাখতে পারবো।