লাকসামে আলিফ রাইস মিলের জ্বলন্ত ছাই কেঁড়ে নিলো শিশুর প্রাণ
লাকসাম পৌরশহরে কার্দ্রা এলাকায় রাস্তার পাশে অটোরাইস মিলের ফেলে রাখা জ্বলন্ত ছাইয়ে পড়ে দগ্ধ হয়ে রায়হান (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে হাসপাতালে চিকিৎসাদিন অবস্থায় ২১ মে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়। শিশু রায়হান পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কার্দ্রা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে। রায়হানের চাচা মুজিবুল আলম জুয়েল বাদী হয়ে ২০ মে বৃহস্পতিবার লাকসাম থানায় আলিফ অটো রাইস মিলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় নিয়ে এলাকায় সচেতন ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে অটো রাইস মিলের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১৭ মে পৌরশহরে কার্দ্রা এলাকায় আলিফ অটো রাইস মিলের পাশে শিশু রায়হানের বাড়ী। ওই দিন বিকালে সে তার সহপাঠীদের নিয়ে মাঠে বল নিয়ে খেলা করছিল। খেলার বলটি মিলের ছাই ফেলার একটি গর্তের মধ্যে পড়ে। এসময় রায়হান তার বন্ধুদের কে নিয়ে বলটি খোঁজতে গেলে গর্তে থাকা জ্বলন্ত ছাইয়ের মধ্যে পড়ে দগ্ধ হয় রায়হান। তাঁর আত্মচিৎকারে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে লাকসাম ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করেন।
তিন দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২১ মে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে চিকিৎসা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আহত রায়হানে চাচা জুয়েল। তিনি বলেন, আলিফ অটোরাইস মিল তাদের জ্বলন্ত ছাই রাস্তার পাশে যত্রতত্র ফেলে রাখে। এ বিষয়ে একাধিকবার প্রতিবাদ করেও কোনো কাজ হয়নি। এমতবস্থায় গত ১৭ মে বিকালে রায়হান শিশুদের সাথে খেলতে খেলতে জ্বলন্ত ছাইয়ে পড়ে যায়। তার পুরো শরীলটা পুড়ছে, তিন দিন ধরে রাজধানীর প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে সে মারা যায়।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন ভুইয়া বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।