কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের খেলার মাঠ এখন কচুক্ষেত!
মহিউদ্দিন মোল্লাঃ দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ডিগ্রি শাখার মাঠ কচুক্ষেতে পরিণত হয়ে রয়েছে। সেখানে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে মশা উৎপাদনের কারখানা।
এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছেন। তাদের দাবি মাঠটি ভরাট করে পুনরায় খেলার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
কলেজ সূত্র জানায়, ১৮৯৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তৎকালীন জমিদার রায় বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায় কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্নে এ কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। ১৯৬২ সালে এ কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি শাখায় বিভক্ত হয়। বর্তমানে এ কলেজে ২৩ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। উচ্চ মাধ্যমিক শাখাটি কুমিল্লা নগরীর রানীর দীঘির পশ্চিমপাড়ে প্রায় ৭ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। অন্যদিকে ডিগ্রি শাখাটি নগরীর ধর্মপুরে প্রায় ২২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। ডিগ্রি শাখায় এক সময় খেলার মাঠ থাকলেও অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের কারণে মাঠের অংশ জলাশয় আর কচুখেতে পরিণত হয়েছে।
’৯৮ সালের পর থেকে এই কলেজের মাঠ হারিয়ে গেছে। জায়গাগুলো ভরাট করা হলে আবার কলেজ মাঠে সুস্থ বিনোদনের পরিবেশ ফিরে আসত বলে শিক্ষার্থীদের অভিমত। হিসাব বিজ্ঞান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. আবদুল কাইয়ুম বলেন, ভিক্টোরিয়া কলেজ পথিকৃৎ। তাদের ভালো উদ্যোগগুলো দেখে অন্য প্রতিষ্ঠান শিখবে। সেক্ষেত্রে ভিক্টোরিয়া কলেজের খেলার মাঠ না থাকাটা দুঃখজনক। খেলার মাঠ এখন মশার কারখানা। মাটি ফেলে সেখানে খেলার মাঠ করা হোক। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ম্যানেজার বদরুল হুদা জেনু বলেন, ’৯৮ সালে এই মাঠে সর্বশেষ টুর্নামেন্ট হয়েছিল। এত প্রাচীন-বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ না থাকাটা দুঃখজনক। ভিক্টোরিয়া কলেজ দল এক সময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার তালিকাভুক্ত দল ছিল। এখন কলেজের মাঠও নেই, খেলাও নেই।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মিলে এখানে খেলার মাঠ তৈরি করে দিতে পারে। ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবু তাহের বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি আমরা সহশিক্ষা কার্যক্রমেও শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করছি। বড় বরাদ্দ পেলে ডিগ্রি শাখার খেলার মাঠ ভরাট করা হবে।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন