প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে
করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকার ১৯ মাস পর হলে ফিরেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ শুরু করেন। এতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে হলগুলোতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান এ বলেন, করোনা আমাদের জীবন থেকে অনেকটা সময় নিয়ে গেছে। এক সময় মনে হয়েছিল আর হয়তো ফেরা হবে না হলে। অনলাইনেই শেষ হবে শিক্ষা জীবন। কিন্তু অবশেষে হল খুললো। আবারো পুরোনো জায়গায় ফিরতে পেরেছি। ভালো লাগছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রহিম খান বলেন, অনেক দিন পর হলে ফিরে আসতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এখন নিজের রুমে পড়াশুনা করে পরীক্ষা দিতে পারবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের একমাত্র হল নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল। নবাব বাড়িতে ফিরতে পেরে তারাও উচ্ছ্বসিত। এ ব্যাপারে খন্দকার নাঈমা আক্তার নুন বলেন, দীর্ঘদিন পর হলে ফিরে খুব ভালো লাগছে। এখন আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ নিউ নর্মাল লাইফে খাপ খাওয়ানো।
নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রাধ্যক্ষ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাদেকুজ্জামান বলেন, প্রশাসনের হল খোলার বিষয়টি খুবই প্রশংসাযোগ্য। এখন যেহেতু করোনার সংক্রমণ অনেকটাই কম এবং ২ নভেম্বর থেকে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম চলার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে সে হিসেবে হল বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়তো। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। তারা তাদের ঘরে ফিরতে পেরেছে এটাই আনন্দের। তাদের মতো আমরাও আনন্দিত।