কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গভীর রাতে প্রবাসী স্ত্রীর ঘরে দু’সন্তানের জনক!
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জের কুটুমপুর এলাকায় এক প্রবাসী স্ত্রী রাবেয়া বেগমের সাথে মেলামেশা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় কুমিল্লার সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর উলুরচর গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের পুত্র ভণ্ড প্রতারক প্রবাস ফেরত দুই সন্তানের জনক হিরন মিয়া (৪৫) নামে এক যুবককে স্থানীয় জনতা হাতে নাতে আটক করে গণধোলা, মাথা ন্যাড়া ও জুতার মালা পড়িয়ে পুলিশে সোর্পদ করে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ি ছেড়ে দেয়। হিরন মিয়া ২ সন্তানের জনক। সে দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া প্রবাস থাকার পর সদর দক্ষিণের বিভিন্ন প্রবাসী স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইলিয়টগঞ্জের কুটুমপুর এলাকায় এক প্রবাসী স্ত্রী রাবেয়া বেগমের সাথে হিরন মিয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের এই সম্পর্ক এক পর্যায়ে গভীর হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা থেকে হিরন মিয়া রাতে ওই রাবেয়া বেগমের শ্বশুর বাড়িতে দেখা করতে যায়। এ সময় এলাকার লোকজন হিরন মিয়াকে দেখে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা হিরন মিয়ার পিছু ছুটতে থাকে। পরে দেখে এক প্রবাসী স্ত্রীর রুমে প্রবেশ করেছে। কয়েক ঘণ্টা ব্যাপী ওই রুমে অবস্থান করার কারণে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। স্থানীয় এলাকার মেম্বার, মাতব্বরদের নিয়ে প্রবাসী স্ত্রীর রুম খোলার জন্য অনুরোধ জানায়।
এক পর্যায়ে দরজা খুলে খাটে বসা অবস্থায় প্রবাসী স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও হিরন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে স্ব-উত্তর দিতে না পারায় স্থানীয়রা হিরনের মাথা ন্যাড়া করে গলায় জুতার মালা পড়িয়ে রাস্তায় ছেড়ে দেয় এবং প্রবাসী স্ত্রীকে সামাজিকভাবে সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস প্রদান করে। পরে ন্যাড়া অবস্থায় হিরন মিয়াকে পুলিশ রাস্তা থেকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে এবং খোঁজ খবর নেয়ার পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ি ছেড়ে দেয়। তবে ফাঁড়ির ইনচার্জ জীবন চন্দ্র সাহা বিষয়টি মিথ্যা বলে এড়িয়ে যান এবং তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
হিরনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ আটক করার পর থেকে হিরনকে আর খোঁজে পাচ্ছে পরিবারের লোকজন। উলুরচর গ্রামের স্থানীয়রা জানান, ইলিয়টগঞ্জে কোন মহিলার সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করার জন্য আটকের খবর আমরা শুনেছি। তাকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। হয়তো লজ্জার কারণে সে পলাতক রয়েছে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত বিদেশ ফেরত হিরন মিয়া এলাকায় প্রবাসী স্ত্রীদের সাথে পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে তাদেরকে ব্লেকমেইল করে অর্থ আত্মসাত করে আসছিল।
এছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় চোরাচালান রাজত্ব কায়েম করেছে। তার ভয়ে এলাকার যুবক, আবাল বৃদ্ধা-বর্ণিতা কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। হিরন একজন মাদকাসক্ত, দিনের পর দিন বেপরোয়া ভাবে নানা অপরাধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে এলাকার নিরহ ও সাধারণ মানুষ ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না।