নির্বিঘ্নে ডাকাতি করতে ভেঙে ফেলা হলো সড়কের ল্যাম্পপোস্ট!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নির্বিঘ্নে ডাকাতি করতে ভেঙে ফেলা হয়েছে রাস্তার পাশের একডজন ল্যাম্পপোস্ট (সোলার লাইট)।

চুরি-ডাকাতি করতে অসুবিধা হওয়ায় অপরাধীরা এসব সোলার লাইট ভেঙে ফেলেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার নাসিরনগর-তিলপাড়া সড়কে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে প্রতিদিনই বুড়িশ্বর, গুনিয়াউক, চাপরতলা, পূর্বভাগ ও হরিপুর ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকে।

উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বে আনন্দপুর-তিলপাড়া সড়কে প্রায়ই চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

বিশেষ করে শীতকাল এলেই ঘন কুয়াশায় ডাকাতি-ছিনতাইয়ের উপদ্রপ আরও বেড়ে যায়। এসব রোধে উপজেলা প্রশাসন এ সড়কে সোলার লাইট বসিয়েছে।

এর পর চুরি-ডাকাতির ঘটনা কিছুটা কমলেও সম্প্রতি ডাকাতের দল এ রাস্তার প্রায় একডজন সোলার লাইট রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদর ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের কোনটির লাইট আছে ব্যাটারি নেই, কোনোটির সোলার ব্যাটারি কিছুই নেই। আবার কোনোটির লাইট-ব্যাটারি সব আছে কিন্তু ভাঙা। এসব কিছুই ভাঙা হয়েছে গত এক সপ্তাহের মধ্যে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ রাস্তা দিয়ে সাধারণ জনগণ চলাচল বন্ধ করে দেয়। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের লোকজনের যাতায়াতের মাধ্যম এ রাস্তা। বিভিন্ন সময়ে এ রাস্তায় নারী, শিশু থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরাও ডাকাতের কবলে পড়েছেন।

এ বিষয়ে বুড়িশ্বর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. ইকবাল চৌধুরী বলেন, আমিও শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ জানান, আগেও কয়েকবার একটি চক্র এ রাস্তার লাইটগুলো ভেঙেছে। তবে সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে আমি লাইটগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করব।

নাসিরনগর থানার ওসি হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে। এ লাইটগুলো সচল করার খুবই প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমিও কথা বলেছি। আশা করছি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।

আরো পড়ুন