কুমিল্লায় হিংস্র প্রজাতির বানর লোকালয়ে
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের কন্ঠনগর গ্রামের লোকালয় থেকে রোববার দুপুরে স্থানীয় লোকজন ফাঁদ পেতে একটি বিরল হিংস্র প্রজাতির বানর আটক করেছেন। খবর পেয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার উপজেলা ফরেস্টারকে নির্দেশ প্রদান করেন বানরটি উদ্ধার করে অবমুক্ত করার জন্য।
ফরেস্টার একেএম লুৎফুল্লা উদ্ধার করে উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের কালি কৃষ্ণনগর বন বিভাগে (বন বিটে) বানরটি অবমুক্ত করেন।
স্থানীয় কবির হোসেন, নজরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান জানান, উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের কন্ঠনগরসহ (গোসাইপুর) আশপাশের ৩-৪টি গ্রামে ৩ বছর আগে পাহাড় বা ভারত সীমান্ত থেকে দুই তিনটা বানর এসে এ গ্রামে আশ্রয় নেয়। বানরগুলো এলাকার মানুষের বাড়ি ঘরে খাবারের জন্য অত্যাচার ও নষ্ট করত। মানুষের বাড়ির ফল ফুট ক্ষেতের ফসল নষ্ট করত। জমির আলু বেশি পরিমাণে ক্ষতি সাধিত করত। বিশেষ করে পেঁপে গাছের আগা এবং পেঁপেসহ ক্ষতিগ্রস্ত করে আসছে। রোববার দুপুরে কন্ঠনগর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান তার বিল্ডিংয়ের ছাদে কলা ও বিভিন্ন খাবার দিয়ে ফাঁদ পাতে এতে দুটি বড় বানর ও দুটি বাচ্চাসহ আসে। এ সময় পুরুষ বানরটি ফাঁদে আটকা পড়ে।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার সাংবাদিকের মাধ্যমে খবর পেয়ে বন কর্মকর্তাকে বানরটি উদ্ধারের নির্দেশ প্রদান করেন।
উপজেলা বন কর্মকর্তা একেএম লুৎফুল্লাহ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার আমাকে জানান- পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের কন্ঠনগর গ্রামে স্থানীয় লোকজন একটি বানর আটক করেছেন।
তিনি আরও জানান, নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে নির্দেশ প্রদান করেন বানরটি উদ্ধার করে অবমুক্ত করার জন্য।
একেএম লুৎফুল্লাহ বলেন, বানরটি বিরল হিংস্র প্রজাতির বানর। আমি এটি উদ্ধার করে বাকশীমূল ইউনিয়নের কালি কৃষ্ণনগর বন বিভাগের বন বিটে অবমুক্ত করি।
এ সময় বন বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মচারী কালি কৃষ্ণনগর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।