‘আপনার ভাবির ঝড় দেখার খুব শখ, তাই রয়ে গেছি’
এবার ৮নং মহাবিপদ সংকেতের মধ্যেও কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের উপস্থিতি ভাবিয়ে তুলছে স্থানীয়দের। ট্যুরিস্ট ও নৌপুলিশের লাগামহীন সতর্কতামূলক প্রচারণার পরেও কোনোভাবেই সৈকত থেকে সরাতে পারছেন না পর্যটকদের। দিন শেষে সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অনেক পর্যটকদের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দিনের মতো রাতেও সৈকতে অনেক দম্পত্তিসহ উৎসুক পর্যটকদের ছবি তুলতে দেখা গেছে।
সাতক্ষীরা থেকে জুনায়েত দম্পতি আসছে কুয়াকাটায় গত বৃহস্পতিবার। আজকে তাদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ঝড়ের কারণে ইচ্ছা করেই বাড়ি যাননি। তিনি বললেন, আপনার ভাবির ঝড় দেখার খুব শখ। তাই রয়ে গেছি। সৈকতে ঘুরছি, ভালোই লাগতেছে। এদিকে ৮ নং মহাবিপদ সংকেতের খবর জানেন কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, জানি। তবে এখানকার ওয়েদার ভালো। কোনো সমস্যা হবে না। দিনের চেয়ে রাতের আবহাওয়াটা ভালো লাগছে। যেহেতু বৃষ্টি নাই তাই সৈকতে ঘুরলাম। বৃষ্টি হলে হোটেল থেকে বের হতে পারতাম না।
আরেক দর্শনার্থী ফরিদপুর থেকে মো. কুদ্দুস মিয়ার সাথে। খোলামেলা ভাবেই বললেন, ঝড় দেখতেই রাতে বিচে আসা। গত দুইদিন ধরে শুনে আসছি ঝড় আসবে আসবে। কিন্তু আসেনি। মহাবিপদ সংকেতের মধ্যেও কেন আসছেন সৈকতে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, প্রশাসন বার বার বলছে কিন্তু মন চেয়েছে তাই এসে পড়লাম। যদি জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায় তাহলে হোটেলে চলে যাব।
কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আকতার মোর্শেদ জানান, দিনভর মাইকিং করে পর্যটকদের সরানোর চেষ্টা করছি কিন্তু কিছু উৎসুক পর্যটক এবং স্থানীয়রা ভিড় করছে সৈকতে। তাদেরকেও সরানোর চেষ্টা করছি আমরা। তিনি আরও বলেন, আমাদের দায়িত্ব প্রচারণা করে সচেতন করা আমরা সেটাই করছি। সেক্ষেত্রে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ যদি সচেতন না হয় তাহলে আমরা কী করবো।
এ সময় কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, আমরা বিকেল থেকে অনেক মাইকিং করেছি পর্যটকদের তীরে আসার জন্য এবং সৈকতে না নামার জন্য তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে তারপরেও সন্ধ্যার পর থেকে কিছু স্থানীয় কিছু উৎসুক জনতা সৈকতে ঘোরাঘুরি করছে। আমরা তাদেরকেও সরানোর চেষ্টা করছি।