হিরো আলমের ওপর হামলা, যা বলল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন চলাকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমের (হিরো আলম) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এই ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিনই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চান এক সাংবাদিক।

ওই সাংবাদিক ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন এবং সোমবার হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে জানতে চান, এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রশাসন কীভাবে বিশ্বাস করবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবেন?

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এই ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনো ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে, স্বচ্ছভাবে ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে উৎসাহিত করি। যারা এই ধরনের হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে বলি। আমরা আগেও বলেছি যে, আমরা আশা করি বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবে। আমরা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব।

এ সময় ওই সাংবাদিক নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্যের (শামীম ওসমান) সামনে বিক্ষোভ দেখানো এক বিরোধীদলীয় কর্মীর গ্রামের বাড়িতে হামলার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রে বসে ক্ষমতাসীন দলের বিপক্ষে কথা বলে বা প্রতিবাদ করে, তাহলে দেশে তার পরিবারের নিরাপদ নয়। এ ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?

এর জবাবেও ম্যাথু মিলার একই কথা বলেন। তিনি বলেন, যে ধরনের হামলার কথা বলা হলো, গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তার কোনো স্থান নেই।

প্রসঙ্গত, সোমবার ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের শেষের দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্রের সামনে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়। মারধর থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। হামলাকারীরা এ সময় তাকে পেছন থেকে ধাওয়া দেয়। ওই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) একতারা প্রতীকে পান ৫ হাজার ৬০৯ ভোট। তবে ফল ঘোষণার আগ মুহূর্তে ভোট সুষ্ঠু না হওয়ার অভিযোগ তুলে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেন আলোচিত এই ইউটিউবার।

আরো পড়ুন