কুবি সাংবাদিক ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে আইনি নোটিশ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে সংশ্লিষ্ট ৮ জনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যানকে ডাকযোগে ও ইমেইলে এ আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) ইকবাল মনোয়ারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান এ নোটিশ পাঠান।
আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান জানান, যে অফিস আদেশের মাধ্যমে ইকবালকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে আদেশে কোনও আইন বা বিধির উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া তার সংবাদে উল্লেখিত উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃতের আপাত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এর থেকে প্রতীয়মান হয় যে উপাচার্য তার ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই ইকবালকে বহিষ্কার করেছেন।
‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ৩২ নং ধারা অনুযায়ী শৃঙ্খলা বোর্ড থাকার কথা থাকলেও সে সংক্রান্ত কোন বোর্ড এবং বিধি তৈরি হয়নি। এই অবস্থায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বেআইনি ও এখতিয়ারবহির্ভূত’ বলে জানান শিহাব উদ্দিন খান।
তিনি আরও জানান, কোনও সংবাদের বিষয়ে যদি উপাচার্য সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তাহলে তার প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে। তা না করে ইকবালকে বহিষ্কার করে উপাচার্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইকবাল সংবাদকর্মী হিসেবে শুধু উপাচার্যের হুবহু বক্তব্য তুলে ধরেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, যার অডিও রেকর্ড তার কাছে রয়েছে। সংবাদ প্রকাশের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯(২)(খ) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। এ ছাড়া ইকবালকে তার অবস্থান ব্যাখ্যার জন্য কোনও ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে বহিষ্কারাদেশ দেওয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতির চূড়ান্ত লঙ্ঘন।
নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় সংবিধানের ১০২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও নোটিশে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই উপাচার্যের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপর ২ আগস্ট সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ও যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।