‘খালেদা জিয়াকে ক্লোজ মনিটরিংয়ে রাখা হয়েছে’
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। মেডিকেল বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কিছু ক্ষেত্রে তার শরীরে জটিলতা বেড়েছে। খালেদা জিয়াকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বোর্ডের বরাত দিয়ে ডা: রফিকুল ইসলাম বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা বোর্ডের পরামর্শে তার চিকিৎসকরা চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে চিকিৎসা বোর্ড থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে, তার চিকিৎসা দেশে আর সম্ভব হচ্ছে না। তাকে বাইরে নিতে হবে। ‘ম্যাডাম যে রুমে আছেন, সেই রুমে তাকে ক্লোজ মনিটরিংয়ে রেখে তার চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও বলেন, তার স্বাস্থ্য বিষয়ে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তার জন্য জনগণ ও নেতা-কর্মীরা উদ্বিগ্ন। সবাই তার সুস্থতা কামনা করছেন। তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী কিছু ওষুধ পরিবর্তন করা হয়েছে।
চিকিৎসক বোর্ডের একজন সদস্য জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। দেহে খনিজের অসমতা দেখা দিয়েছে। ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমেছে। হঠাৎ করেই খালেদা জিয়ার লিভার, কিডনিসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে জটিলতা বেড়েছে। খালেদা জিয়ার কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। তাকে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন বলে চিকিৎসকেরা মনে করছেন।
উল্লেখ্য, এ দফায় গত ৯ আগস্ট থেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে গত ১০ জুন মধ্যরাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। দুই সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে ২৪ জুন বাসায় ফেরেন তিনি। খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার অ্যানজিওগ্রাম করা হলে হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিঙ পরানো হয়।