কুমিল্লায় মারধর ও পায়ের রগ কেটে যুবককে হত্যা

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় মারধরের পর ‘পায়ের রগ’ কেটে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তিতাস থানার ওসি কাঞ্চন কান্তি দাস।

নিহত মো. মাসুম (২৮) ওই উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নারান্দিয়া চকের বাড়ির মৃত মহরম আলীর ছেলে।

নিহতের মা মাসুদা বেগম জানান, বুধবার দুপুর ২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয় মাসুম। আসরের নামাজের পর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিকাশে ৫০ হাজার টাকা নেয় সে।

“পরে সন্ধ্যা হয়ে গেলে আমার মেয়ে ফোন দিয়ে মাসুমকে বাড়িতে আসতে বলে। এ সময় ওই প্রান্ত থেকে এক লোক আমার মেয়েকে বলে- আপনার ভাই কালকে আসবে।

“তখন আমি কান্নাকাটি করতে থাকি। পরে রাত ৯টার দিকে খবর পাই আমার ছেলে দাউদকান্দির গৌরীপুর হাসপাতালে।”

তিনি আরও জানান, দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখেন তার ছেলের সারা শরীরে নির্যাতনের দাগ এবং পায়ের রগ কাটা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা নেওয়ার পথে ১১টার দিকে মাসুম মারা যায়।

মাসুমের বৃদ্ধা মা কান্না করতে করতে বলতে থাকেন- ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।

ওসি কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, “নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন দাউদকান্দি উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা একাধিক হত্যা মামলার আসামি শুক্কুর আলীর সঙ্গে টাকা পয়সার লেনদেন ছিল মাসুমের।

“এছাড়া ভিকটিম মৃত্যুর আগে ভিডিওতে বলে গেছে- কারা তাকে মারধর করেছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করি দ্রুত সময়ে হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারবো।”

বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

আরো পড়ুন