হারামাইন শরীফের ইমাম হতে চান বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির
বশির আহমাদ। হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বেগুনাই গ্রামের এক কিশোর। এই বশিরই এখন বিশ্বজয় করে ফিরেছে দেশে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে এমন বিশ্বজয় বাংলাদেশকে করেছে গর্বিত। বশির এখন বিশ্বজয়ী হাফেজ বশির আহমাদ। ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় ১১০ দেশের প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে দখল করেছে প্রথম স্থান। বুধবার অনুষ্ঠিত হওয়া এ প্রতিযোগিতা শেষে শুক্রবার সকালে দেশে ফিরে বশির। সকালে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে শুভেচ্ছা জানান অগণিত মানুষ।
এসময় নিজের স্বপ্নের কথা তুলে ধরে বিশ্বজয়ী কোরআনের এই হাফেজ জানায়- পড়ালেখা করতে চায় আল- কোরআনিক সাইন্স নিয়ে। এজন্য সৌদি আরবের মদিনা ইউনিভার্সিটি অথবা মিশরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা তার। হতে চায় মদিনার মসজিদে নববীর ইমাম।
পাশাপাশি কোরআনের খেদমতে নিজেকে সমর্পণ করতে চায়। দেশকে আরও এগিয়ে নিতে চায় অনেক দূর।বিশ্বজয়ে তার অনুভূতি কী জানতে চাইলে জানায়, আল্হামদুলিল্লাহ্ খুবই ভালো লাগছে যে, বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকাকে বিশ্বের বুকে উড্ডয়ন করতে পেরেছি। ছোটকাল থেকেই স্বপ্ন ছিল যে, আমি বিশ্ব হিফ্জ কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবো এবং পুরো পৃথিবীতে প্রথম হবো। আমি মাত্র ৫ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেছি।
হাফেজ বশির আহমেদ ছয় বছর ধরে পড়ালেখা করছে ঢাকার মারকাজুত তাহ্ফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায়। সে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কিতাবখানায় পড়ালেখা করছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল শায়খ নেছার আহমাদ আন নাছিরী বলেন, এর আগে সে আরও কয়েকটি প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে। বশির অনেক বেশি আমল করে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে, রোজা রাখে সব সময় আল্লাহ্র কাছে কান্নাকাটি করে ও সকলকে সম্মান করে। পাশাপাশি সে অনেক পড়াশুনা করে। সব মিলিয়ে তার যেমন মেধা ভালো, তেমনি চলাফেরা আমল-আখলাক সবকিছু ভালো। তাই তাকে দিয়ে এত বড় অর্জন সম্ভব হয়েছে।
এর ১০ দিন আগে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছিল বশির। ২০২২ সালেও হুফ্ফাজুল কোরআন ফাউন্ডেশনের প্রতিযোগিতায় বশির প্রথমস্থান অর্জন করেছিল।