পাঞ্জাবি নিয়ে বিতর্কের জবাব দিল আড়ং

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ংয়ের একটি খয়েরি রঙের পাঞ্জাবি নি‌য়ে যে বিতর্ক চল‌ছে। পাঞ্জাবির নকশাকে ‘সমকামিতার প্রতীক’ দাবি করে চলমান প্রচার চলছে। এ ধরনের দাবিকে ‘গুজব ও অপপ্রচার’ হিসেবে বর্ণনা করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এই ব্র্যান্ড।

সোমবার এক বিবৃতিতে আড়ং বলেছে, ‘এই উৎসবকালীন সময়ে আড়ংয়ের সুনামহানি করার জন্য একটি গোষ্ঠী মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, যেন মানুষের মনে আড়ং সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয় এবং বিক্রয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য নিয়ে ৪৬ বছর আগে আড়ংয়ের জন্ম। আজ সারা বাংলাদেশে ২৯টি আউটলেট ও আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ৭৫ হাজার কারুশিল্পী এবং তাঁদের পরিবারের আয় আড়ংয়ের সঙ্গে যুক্ত, যাদের অধিকাংশই সুবিধাবঞ্চিত নারী। এছাড়াও প্রায় ৫ হাজার কর্মী আড়ংয়ের সঙ্গে সরাসরি কাজ করছেন। যাত্রা শুরুর পর থেকে আড়ং অক্লান্তভাবে বাংলাদেশের কারুশিল্পকে মূলধারায় জনপ্রিয় করেছে, পাশাপাশি দেশে-বিদেশে দেশীয় পণ্যের বিপুল বাণিজ্যিক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আড়ংয়ের লাভের অর্ধেক ব্যয় হয় দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের জন্য ব্র্যাকের উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে।

আড়ং বলছে, ঈদ এবং পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবকে কেন্দ্র করে আমাদের উদ্যোক্তারা সারা বছর প্রস্তুতি নেন, যা তাঁদের ব্যবসায়ের প্রধান মৌসুম। অত্যন্ত দুঃখজনক যে এই উৎসবকালীন সময়ে আড়ংয়ের সুনামহানি করার জন্য একটি গোষ্ঠী মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, যেন মানুষের মনে আড়ং সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয় এবং বিক্রয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

বিবৃতিতে ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, ঈদ ও পহেলা বৈশাখসহ বছরব্যাপী নানা উৎসব আয়োজনে, দৈনন্দিন প্রয়োজনে এবং জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত পালনে আপনারা সব সময় আড়ংকে বেছে নিয়েছেন। এজন্য আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আড়ং বিরোধী গুজব ও অপপ্রচারে প্রভাবিত না হয়ে, বাংলাদেশে জন্ম ও গড়ে ওঠা ব্র্যান্ড আড়ং এবং দেশের কারুশিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন