কুমিল্লা জেলা পুলিশ অপরাধ দমনে দেশসেরা
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, চোরাচালান ও অপরাধ দমন করে এবার দেশসেরা নির্বাচিত হয়েছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
সোমবার ৮ জানুয়ারি ২০১৮ পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ পুলিশ সপ্তাহকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী পরিচালিত এক সমীক্ষায় সব অভিযানে কুমিল্লা জেলা পুলিশ দেশের সেরা নির্বাচিত হয়। জেলা পুলিশের দেশসেরা নির্বাচিত হওয়ার নেপথ্যের কারিগর হিসেবে প্রায় ৮০ শতাংশ অভিযান সম্পন্ন করেছেন জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের ইউনিট। এ ইউনিটের প্রধান ওসি একেএম মঞ্জুর আলম কুমিল্লায় বছরজুড়ে সেরা এবং আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ১ বছরে ১২ বার পুরস্কার পেয়েছেন। এ পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে ১ বছরে ৬টি বন্দুক যুদ্ধে ১৮ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। সন্ত্রাস নির্মূলে সাহসী এ পুলিশ কর্মকর্তা জেলায় সেরা এবং সব মহলে প্রশংসিত হয়েছেন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দেশব্যাপী পুলিশের কার্যক্রমের ওপর একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে পুলিশ সদর দফতর। ওই সমীক্ষায় মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, চোরাচালান ও অপরাধ দমনে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সারা দেশের মধ্যে সেরা নির্বাচিত হয়।
সূত্র জানায়, কুমিল্লায় ১৭টি থানা এবং ৭টি পুলিশ ফাঁড়ি, ৪টি তদন্ত কেন্দ্রসহ মোট ৫৩টি ইউনিট রয়েছে। ৫৩টি ইউনিটের সারা বছরের উদ্ধার অভিযানের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। এতে ৫২টি ইউনিট মিলে ২০ শতাংশ অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছে। আর দেশসেরা হওয়ার নেপথ্যের কারিগর জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের ইউনিট প্রায় ৮০ শতাংশ অভিযান সফল করে জেলা পুলিশকে দেশসেরার গৌরব এনে দেয়। সফল অভিযানের নেতৃত্ব দিয়ে ২০১৭ সাল জুড়ে মাসিক পুলিশ সভায় ডিবির ওসি একেএম মঞ্জুর আলম ১২ বার সেরা ওসির পুরস্কার লাভ করেন। ওসি মঞ্জুরের নেতৃত্বে গত ১ বছরে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকাসহ জেলার বুড়িচং, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার ও চান্দিনা এলাকায় মোট ৬টি বন্দুক যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব বন্দুক যুদ্ধে ১৮ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। এ সময় তিনিসহ প্রায় অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এ ছাড়াও ওসি মঞ্জুর আলমের নেতৃত্বে গত ১ বছরে মাদক আইনে ৭০৭টি, অস্ত্র আইনে ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়, ২৪১৬৩৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯২২৯০ বোতল ফেনসিডিল, ১২৯২২ কেজি গাঁজাসহ সর্ব মোট ১৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৬ হাজার ৪০০ টাকার অবৈধ মাদক দ্রব্য, গাড়ি ও মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ৯টি এলজি, ১৫ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি পাইপগান, ৬টি বিদেশি পিস্তল, ২টি রিভলবার, ২৫টি রামদা উদ্ধার করা হয়। কুমিল্লায় অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চোরাচালান, সন্ত্রাস ও ছিনতাই অপরাধ দমনসহ সামাজিক নানা কার্যক্রম চালিয়ে বছরজুড়ে তিনি সেরা এবং আলোচিত হয়েছেন। সফল কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দেয়ায় মাদক বিরোধী সংগঠনসহ নানা সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও তিনি পুরস্কার লাভ করেন।
এ বিষয়ে ওসি ডিবি একেএম মঞ্জুর আলম বলেন, কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেনের সার্বিক দিক নির্দেশনায় জেলার অপরাধ দমন ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, পুলিশের ভাবমূর্তি ও জনসাধারণের আস্থা অর্জনই আমার মূল লক্ষ্য।
সূত্রঃ যুগান্তর