নারীদের লজ্জাস্থানের ছবি তোলার জন্য জুতায় ক্যামেরা!
ডেস্ক রিপোর্টঃ বর্তমান বিশ্ব আধুনিক উন্নত তথ্য-প্রযুক্তি সম্পন্ন। যা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন। কিন্তু কর্তিপয় কিছু মন্দ লোক এই প্রযুক্তিকে খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে বা করে থাকে।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে যা শুনলে আপনি হতভম্ব হয়ে যাবেন। ভারতের কেরালা রাজ্যের এক যুবক যা করেছে, সেটি সভ্য সমাজের কেউ ধারণা করতে পারেনি। হ্যাঁ, বিনা অনুমতিতে নারীদের অশ্লীল ছবি তোলার বহু অভিযোগ রয়েছে বিশ্বে। তবে নারীদের স্কার্টের নীচে দিয়ে লজ্জাস্থানের ছবি তোলার কথা কখনো শোনা যায়নি।
ভারতের কেরালা রাজ্যের ওই যুবক নারীদের স্কার্টের নীচ দিয়ে লজ্জাস্থানের ছবি তোলার জন্য অভিনব কায়দায় জুতার মধ্যে মোবাইল ফোন লুকিয়ে রাখেন। তিনি প্রথমে নিজের জুতা কেটে আড়াআড়ি ভাবে দুই ভাগ করে নিয়ে এরপর একটি ছিদ্র করত৷ তারপর মোবাইল ফোনটি এমনভাবে ওইখানে রাখতেন যাতে করে ক্যামেরাটি সেই ছিদ্রের ওপরের দিকে থাকত৷ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ওই যুবকের নাম বাইজু।
এরপর ওই যুবক জুতাটি আগের মতো করে সেলাই করে নিতো। এই কারণে নারীদের তার প্রতি কোনো রকম সন্দেহও হয়নি। কেননা, চটিতে মোবাইল ফোন রেখে কেউ স্কার্টের নীচ দিয়ে ছবি তুলছে তা কেউ ভাবতেও পারেনি৷ চটি জুতার সাইডে ছিদ্র করে সোলের নীচে মোবাইল ফোনটি এমন করে রাখা ছিল যে ফাঁকা জায়গা থেকে সহজেই ছবি তোলা যাবে৷
তবে পুলিশের নজর থেকে বাঁচতে পারেনি ওই যুবক৷ পুলিশ ঠিকই তার সেই কৌশল ধরে ফেলেছে। কেরালের থ্রিসুর জেলার স্কুল আর্টস ফেস্টিভ্যালে এটি ব্যবহার করেছিল বাইজু নামের সেই যুবক।ওই সময় বাইজুর আচার-ব্যবহার দেখে সন্দেহ হয় এক পুলিশ কর্মীর৷ এরপর তাকে তল্লাশি চালাতেই সব সামনে চলে আসে।
ঘটনাটি এখানেই শেষ নয়, বাইজু নামের ওই যুবক একটি স্পেশ্যাল স্টিল কেসও বানিয়েছিল যাতে করে মোবাইল ফোনটি কোনো প্রকার চাপে পড়ে নষ্ট হয়ে না যায়৷
যাই হোক, আধুনিক প্রযুক্তির সুব্যবহার হোক এটাই কাম্য সভ্য সমাজের।