কুমিল্লায় গ্রামে হামলা-লুটপাটের খবর মাইকে ঘোষণা দেওয়ায় মসজিদেও ভাঙচুর
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের চাটিতলা গ্রামের উত্তর পাড়ায় বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা গ্রামে প্রবেশ করে প্রথমে ওই গ্রামের ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান ও ওমর ফারুকের দোকানঘরসহ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
এসময় মসজিদের মাইকে গ্রামে ডাকাত হামলা করেছে ঘোষণা দেওয়ায় মসজিদটিতে দুর্বৃত্তরা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় স্থানীয়রা ধাওয়া করে পার্শ্ববর্তী কাকৈরতলা গ্রামের মৃত রঙ্গু মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন নামে এক যুবককে আটক করে। খবর পেয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আটক যুবক আলমগীরকে পুলিশে সোপর্দ করে গ্রামবাসী।
স্থানীয়রা জানান, রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে প্রথমে চাটিতলা উত্তর পাড়ায় মোস্তাফিজ ও ওমর ফারুকের দোকানঘরসহ কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে একই গ্রামের পারভিন বেগম, তিতা মিয়া, জয়নাল আবেদীন, আরিফুল হোসেন শরীফ ও মাস্টার মিজানুর রহমানের বসতবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট করে। লুটপাটকারীরা চলে যাওয়ার সময় গফুর ভাই-গফুর ভাই বলে স্লোগান দিতে থাকে।
চাটিতলা উত্তর পাড়া জামে মসজিদের ইমাম মুফতি হুজাইফা মাহমুদ বলেন, গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে ও দোকানে ডাকাতি হওয়ার খবর শুনে আমরা মসজিদের মাইকে গ্রামে ডাকাত হামলা করেছে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীকে সতর্ক করি। এ সময় মুখোশ পরা সন্ত্রাসী দল মসজিদে এসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ওবায়দুল হক বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের হাতে এক ব্যক্তি আটক আছে জানিয়ে আমাদের কাছে আহত অবস্থায় তাকে সোপর্দ করে। পরে ওই ব্যক্তিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বাবলু তার জিম্মায় রেখে দেন।
এব্যাপারে কথা বলতে আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হুমায়ুন কবির বাবলুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
নাঙ্গলকোট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.কে ফজলুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।