কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ১০ ইন্টার্ন চিকিৎসকের শাস্তি
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নামে অপকর্ম
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ১০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে আজীবন ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এবং বাকি সদস্যদের বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা ছাত্রলীগের ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, হয়রানি এবং অন্যান্য অপকর্মে জড়িত ছিল।
শাস্তি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন:
- ২৫তম ব্যাচের হৃদয় রঞ্জন নাথ ও আনোয়ার হোসেন,
- ২৭তম ব্যাচের শহিদুল ইসলাম, জয় সরকার ও সামিউল হক,
- ২৮তম ব্যাচের শাইখ আবেদিন, তালুকদার মো. ফারহান ও তাহসিনুল হক,
- ৩০তম ব্যাচের আফ্রিদি ইসলাম,
- ৩১তম ব্যাচের ইয়াসির জোনায়েদ।
অধ্যক্ষ মির্জ্জা মুহাম্মদ তাইয়েবুল ইসলাম জানান, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সোমবার শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের প্রভাব ব্যবহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে।
শাস্তি অনুযায়ী,
- হৃদয় রঞ্জন নাথকে আজীবন ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
- সামিউল হক, জয় সরকার এবং শাইখ আবেদিনের ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
- তালুকদার মো. ফারহান ও তাহসিনুল হককে ২৪ মাসের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে, এবং তাদের হোস্টেলে প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
- আনোয়ার হোসেন এবং শহিদুল ইসলামের ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
- আফ্রিদি ইসলামকে ১২ মাসের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রেখে হোস্টেলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
- ইয়াসির জোনায়েদকে ছয় মাসের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে এবং হোস্টেলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া, শাস্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পরবর্তী আচরণ তদারকি করা হবে। এই শাস্তির পরিপ্রেক্ষিতে, শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে হৃদয় রঞ্জন নাথের নেতৃত্বে ২৯তম ব্যাচের মুজাহিদ ত্বহা ও আবদুল মান্নানকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। একই সঙ্গে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে শিবিরের নেতা হিসেবে অভিযোগ আনার চেষ্টা করা হয়েছিল।