ত্রাণ নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে বাংলাদেশের আলেমরা
প্রায় এক কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনে নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে জাতীয় সেবা সংস্থা হাফেজ্জি চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (টিমএইচসিএসবি)। প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে এবারই প্রথম কোনো জাতীয় সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াল।
গত ১৯ নভেম্বর মিসর সফরে যায় সংস্থাটির ছয় সদস্যের একটি টিম। এই দলে আছেন সংস্থাটির পরিচালক নওমুসলিম মুহাম্মদ রাজ, নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, সহসভাপতি ড. মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইবরাহিম খলিল, মুফতি তাওহিদুল ইসলাম ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সহপরিচালক মাওলানা ইমরান নাফিস।
ছয় দিনের এই সফরে মিসরের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে গাজা ও খান ইউনিসেও সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।
সংস্থাটির পরিচালক নওমুসলিম মুহাম্মদ রাজ বলেন, ফিলিস্তিনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫২ হাজার মানুষ মিসরে আশ্রয় নিয়েছে। আমরা এর আগেও সীমিত পরিসরে তাদের জরুরি সহায়তা দিয়েছি।
নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই সহায়তা নতুন নয়। ইতোমধ্যেই আমরা মিসরের ‘রেট ক্রিসেন্ট হাসপাতাল’ ও ‘মাহাদ নাসির হাসপাতালে’ অসুস্থ ৫০ জনকে চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছি। এবার আরেকটু বিস্তৃত পরিসরে সহায়তা দিতে মিসর সফরে এসেছি। এই সফরে আমরা নগদ অর্থ বিতরণের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের ২০০ পরিবারকে সাড়ে ১৯ লাখ টাকার সহায়তা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি আহত ও রোগীদের পাঁচ লাখ টাকার চিকিৎসা সহায়তা, আল আজহারের ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের তিন লাখ টাকা, দারিদ্র্য বিমোচনে আড়াই লাখ টাকার সহায়তা দিচ্ছি। এ ছাড়া খান ইউনিসে ২০ লাখ টাকার এবং মিসরের শরণার্থী শিবিরে পাঁচ লাখ টাকার খাবার ও পানি বিতরণ করছি এবং পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি, আলহামদুলিল্লাহ।
হাফেজ্জি চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (টিমএইচসিএসবি) সরকারি নিবন্ধনভুক্ত একটি অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সেবা সংস্থা। দেশের শীর্ষ আলেমদের তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়।