ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, সেবাযত্ন করে সুস্থ করার পর লুট

গভীর রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ডাকাত প্রবেশ করলে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী সোবাহান হাওলাদার (৬০)। এ সময় ডাকাতরা তাকে পানি পান করিয়ে তার সেবাযত্ন করে। পরে তারা স্বর্ণালংকার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়।

সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া একই বাড়ির সোবাহান হাওলাদারের ভাতিজা জহিরুল ইসলামের আধা পাকা ঘরের দরজা ভেঙে ডাকাত দল টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে।

সারাদেশ
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, সেবাযত্ন করে সুস্থ করার পর লুট
ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, সেবাযত্ন করে সুস্থ করার পর লুট

ডাকাত দেখে আতঙ্কে অসুস্থ গৃহকর্তা, সেবাযত্ন করে সুস্থ করার পর লুট
ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৭:১৪

FacebookXWhatsAppLinkedInTelegramMessengerEmail


+
গভীর রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ডাকাত প্রবেশ করলে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী সোবাহান হাওলাদার (৬০)। এ সময় ডাকাতরা তাকে পানি পান করিয়ে তার সেবাযত্ন করে। পরে তারা স্বর্ণালংকার, টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে পালিয়ে যায়।

সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া একই বাড়ির সোবাহান হাওলাদারের ভাতিজা জহিরুল ইসলামের আধা পাকা ঘরের দরজা ভেঙে ডাকাত দল টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, চিৎকার না করায় ডাকাতেরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি। তাদের দাবি দুই ঘর থেকে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, ৩৮ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করা হয়েছে।

জহিরুল ইসলাম বলেন, রাত দুইটার দিকে বৈরী আবহাওয়া ছিল। বৃষ্টির মধ্যে মুখোশ পরা একদল ডাকাত তার ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে কাপড় দিয়ে সবার চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। তারা নিজেদের ডাকাত পরিচয় দেয় এবং ঘরের সব আসবাব তছনছ করে ১৮ হাজার টাকা ও আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং অন্যান্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।

সোবাহান হাওলাদার বলেন, ‘আমার পাকা দালানের দরজার সিটকিনি ভেঙে ঘরে ঢুকে ডাকাত দল। তারা নিজেদের ডাকাত পরিচয় দিলে আমি ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি। এ সময় ডাকাতেরা আমাকে পানি খেতে দেয়। পরে একাধিক আলমারি ভেঙে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, ১০ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে চলে যায়।’

সোবাহান হাওলাদার আরও বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী এ সময় ঘরে ছিলাম। ডাকাতরা আমাদের কোনো আঘাত করেনি, বরং আমি ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা আমার সেবাযত্ন করে।’

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হাওলাদার বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন