ভারতে আটক ৫ বাংলাদেশি, নিজেদের আ. লীগ কর্মী ও পুলিশ সদস্য দাবি

ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস এলাকায় পাঁচ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। গত শনিবার ও রবিবার তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন নিজেদের আওয়ামী লীগ কর্মী এবং একজন নিজেকে পুলিশ সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

চারজনকে গ্রামবাসী ও পুলিশ আটক করার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এক ভিডিওতে হিন্দিতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এক ব্যক্তি বলেন, “আমরা শেখ হাসিনার দল করতাম। অবৈধ সরকার এ দেশে চলে এসেছে। তখন ওই আমাদের রাস্তা দেখিয়ে এ দেশে নিয়ে এসেছে। আমাদের বাংলাদেশে নিরাপত্তা…” —এরপর ভিড়ের আওয়াজে বাকিটা শোনা যায়নি।

ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, তিনজনের হাত বাঁধা, সবার পরনে হাফ প্যান্ট। একজনের গায়ে ছেঁড়া গেঞ্জি, বাকিদের গায়ে জামা নেই। তাদের শারীরিক নির্যাতনের চিহ্নও স্পষ্ট। একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, গ্রামবাসীদের সহায়তায় পুলিশ তাদের বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম শিলং টাইমস জানায়, শুক্রবার (৮ আগস্ট) সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত অতিক্রম করে মেঘালয়ের রংদাংগাই গ্রামে এক যুবকের ওপর হামলা, অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চার বাংলাদেশিকে শনিবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রবিবার গ্রেপ্তার হয় আরও একজন।

শনিবার গ্রেপ্তার চারজন হলেন—জামালপুরের জাহাঙ্গীর আলম (২৫) ও মারুফুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের সায়েন হোসেন এবং কুমিল্লার মাহফুজ রহমান। এদের মধ্যে মারুফুর রহমান নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্য বলে দাবি করেছেন। রবিবার আটক মোবারক মিয়া সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার কলাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।

দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলসের পুলিশ সুপার বি. জিরওয়া জানান, রবিবার সকালে গ্রামবাসীদের সহায়তায় গিলাগোড়া গ্রাম থেকে মোবারক মিয়াকে আটক করা হয়।

শিলং টাইমস এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাস্থল থেকে বাংলাদেশের পুলিশ কনস্টেবলের একটি আইডি কার্ড, হাতকড়া, ম্যাগাজিনের কভার, পিস্তল হোলস্টার, রেডিও সেট, মোবাইল ফোন, মুখোশ, কুঠার, তার কাটার যন্ত্র ও বাংলাদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছে মেঘালয়ের পুলিশ।

আরো পড়ুন