কুমিল্লায় রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে বিএনপি প্রার্থীর বাহাস

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লায় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাছাই বাছাইকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে বাহাস হয়েছে দেবীদ্বার আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর বাহাস হয়েছে।

জানা গেছে, কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মঞ্জুরুল আহসান মুন্সির মনোনয়নপত্র যাছাইয়ের সময় ঋণ খেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিলের উদ্যোগ নেয়া হয়। এসময় রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে বাহাসে জড়িয়ে পড়েন মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি, তার ছেলে ব্যারিষ্টার রেজভিউল আহসান। পরে তারা রিটার্নিং অফিসারকে হাইকোর্টের এক আদেশ দেখান। এসময় ১২টা ২ মিনিট থেকে ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত তাদের মধ্যে যুক্তিতর্ক হয়। এরপর রিটার্নিং অফিসার প্রতিনিধি ও মঞ্জুরুল আহসানের প্রতিনিধিদের মধ্যে বিষয়টি পর্যালোচনা করতে আলাদা কক্ষে পাঠানো হয়। ওই কক্ষ থেকে ১২টা ২৪ মিনিটে ফিরে তারা আবার বাকবিত-ায় জড়িয়ে পড়েন। ১২টা ৩৫ মিনিটে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবুল ফজল মীর বিষয়টি প্যান্ডিং করে পর্যালোচনার পর বিকেলে জানানো হবে বলে জানান।

বাকবিত-ার সময় মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি তার ছেলে রেজভিউল আহসান ও সমর্থকরা বলেন, ‘আপনি ডিসি, আপনাকে হাইকোর্টের অর্ডার মানতে হবে। না হয় আপনাকে বলতে হবে আপনি হাইকোর্টের অর্ডার মানেন না। এসময় মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি বলেন, “আপনার জন্য এতোগুলো ফাইল বানিয়ে আনছি। যেন যেখানেই ধরেন সেখানেই উত্তর দিতে পারি। তিনি আরো বলেন, আমি ৪ বার নির্বাচন করেছি এই প্রথম রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন কর্মকর্তা হাইকোর্টের অর্ডার মানেন না দেখছি।”

মঞ্জুরুল আহসান মুন্সির ছেলে রেজভিউল আহসান ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে এসময় তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং বলেন “আইএম বার এট ল” আমাকে আইন শেখাতে আসবেন না। আপনারা আইন জানেন না তাই এমন অভিযোগ করছেন। ব্যাংক কর্মকর্তা ও ব্যাংক আইনজীবীরা বলেন, আপনি আইন শেখানোর কে?

জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা আজ সকালে সিবিআই এর যে রিপোর্ট পেয়েছি সেখানে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সিকে ঋণ খেলাপি দেখানো হয়েছে। তবে তিনি হাইকোর্টের যে আদেশ এনেছেন তা পর্যালোচনা করে বিকেলে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।

তবে শেষ পর্যন্ত মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে গণ্য করা হয়।

আরো পড়ুন