কুমিল্লা বুড়িচংয়ে পুলিশের বাড়িতে নারীর অনশন

শুক্রবার (১৩ মে) সকালে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নারায়নসার গ্রামে সিআইডি পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানার বাড়ীতে ওই নারী অনশনে বসেন। অভিযুক্ত সোহেল রানা বরগুনা জেলা সিআইডি পুলিশে কর্মরত আছে বলে জানান ওই নারী। ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, ১০ বছর পূর্বে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ার সময় সোহেল রানার সাথে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের যোগাযোগ ছিলো। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে। ১ বছর পূর্বে ঢাকা রামপুরা কাজী অফিসে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন তারা।

বিয়ের সময় সোহেল রানা জয়পুরহাটে চাকুরী করতো, এসময় জয়পুরহাটে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস শুরু করেন, পরে ঢাকা ও সর্বশেষ দুই মাস পূর্বে বরগুনা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেয়। গত ২৬ এপ্রিল সোহেল রানা স্ত্রীকে রেখে ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে এসে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করতে পারছিলনা ওই নারী। কোনো উপায় না পেয়ে সে শুক্রবার সকালে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে সোহেল রানার গ্রামের বাড়ীতে এসে অবস্থান নেয়। এখানে এসে দেখে স্বামী এবং শশুড় পলাতক রয়েছে।

ওই নারী গণমাধ্যমে নিজের নাম বলতে নারাজ, তার মা-বাবা ঢাকাতে বসবাস করেন। বাবা পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে চাকরি করে এবং নানার বাড়ি মুরাদনগরে বলে তিনি জানান। ওই নারী আরো জানান, ইতোমধ্যে সোহেল রানার আরো ৮টি বিয়ের খবর তার কাছে এসেছে। এই বাড়ীতে এসে জানতে পারেন সোহেল রানার প্রথম স্ত্রী এই বাড়ীতে থাকেন, প্রথম স্ত্রীর একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে যার বয়স ১১ বছর। বিয়ে ছাড়াও সোহেল রানা বহু নারীর সাথে কাবিন বহির্ভূত বৈবাহিক সম্পর্কের অভিযোগ ও তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ভুক্তভোগী নারী অরো অভিযোগ করে বলেন, তার আরো দুই স্ত্রীর মামলার ভিত্তিতে সাসপেন্ড থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ভাবে প্রায় ১১লক্ষ টাকা নেয় সুহেল। চাকরি পুনর্বহাল ও মামলা শেষ করার জন্য বিভিন্ন সময় ৮ লক্ষ টাকা এবং পারিবারিক সমস্যার কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা নেয়। একাউন্টিংয়ে মাস্টার্স সম্পন করার পর একটি বিদেশী কোম্পানিতে ভালো বেতনের চাকরীর সুবাদে ব্যাংকে জমানো সব টাকা সোহেল নিয়ে নেয়। জমানো টাকা ফুরিয়ে এলে তার ওপর নানা ভাবে নির্যাতন শুরু করে।

এসব বিষয়ে বরগুনা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখত অভিযোগ দায়েরের পর বুড়িচংয়ে সোহেলের বাড়িতে অবস্থান নেয় ভুক্তভোগী এই নারী। এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মাকসুদ আলম জানান,এ বিষয়টি আমরা শুনেছি,সোহেলের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছি এবং সামাজিক ভাবে মেনে না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন