কুমিল্লা মহানগরীর ঔষধের দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হেক্সিসল সঙ্কট

কুমিল্লা মহানগরী ও আশেপাশে এলাকার ঔষধের দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হেক্সিসল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। শুধু ঔষধের দোকানই নয় সুপারশপেরও একই অবস্থা।

কুমিল্লা ঝাউতলার ইতি ফার্মেসীর স্বত্তাধিকারী রাসেল জানান,গত চার পাঁচদিন ধরে কুমিল্লার বেশীর ভাগ ঔষধের দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যাক্সিসল সরবরাহ হচ্ছে না। আমরা প্রতিদিন অন্তত ৩ থেকে ৪শ জন ক্রেতাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি।

সরেজমিনে নগরীর বাদশা মিয়া বাজার, রেইসকোর্স, ঝাউতলা , বাদুড়তলা, রানীর বাজার , স্বপ্ন সুপারসপসহ রাজগঞ্জ বাজারে ঘুরে দেখা যায়, কোন দোকানেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হেক্সিসল নেই।

পুরো কান্দিরপাড় ও রাজগঞ্জের বেশ কটি ঔষধের দোকান ঘুরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হ্যাক্সিসল না পেয়ে চরম বিরক্ত প্রকাশ করেন কাউসার ও আরিফ নামে দু’জন চাকুরীজীবী। তারা জানান, যতটুকু জেনেছি একটি সিন্ডিকেট করোনাকে পুঁজি করে হেক্সিসল ও হ্যান্ড সেনিটাইজার স্টক করে বেশী দামে বিক্রি করছেন।

অধিকমূল্য কয়েকটি জায়গায় গোপনে বিক্রি হচ্ছে হেক্সিসল ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার এমন অভিযোগ রয়েছে । সাইফ বাবু নামে এক শিক্ষক জানান, ৫০ মি.লি হেক্সিসল কোম্পানী নির্ধারিত মূল্য ৪০ টাকার বদলে তিনি কিনেছেন ৮০ টাকা দিয়ে।

আনোয়ার হোসেন নামে আরেকজন ব্যাংকার জানান, তিনি ১৩০ টাকা মূল্যের ২৫০ এম.এল হেক্সিসল কিনেছেন ২০০ টাকা দিয়ে।

বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো:আছাদুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তবে তা সুনির্দিষ্ট না। অবশ্যই সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অধিক দামে যারা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হেক্সিসল বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সূত্রঃ আমাদের সময়

আরো পড়ুন