ফাইনালে বাজিমাৎ করবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স !

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবার বিপিএলে প্রথম তিন ম্যাচই হেরেছিল। এরপর আর কোন হার নয়। টানা দশ ম্যাচ জিতে সবার আগে জায়গা করে নিয়েছে ফাইনালে। প্লে অফ রাউন্ডে বাকি দলগুলো থেকে স্কোয়াড বিবেচনায় চট করেই আলাদা করা যাচ্ছে তাদের।

পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান, খুশদিল শাহরা টুর্নামেন্টের লিগ পর্বে ভূমিকা রেখে ফিরে গেছেন। এই ঘাটতি একদমই অনুভূত হয়নি কুমিল্লার। প্লে অফের আগেই তারা যুক্ত করে নেয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি সব দুনিয়া কাঁপানো নাম।

আন্দ্রে রাসেল, সুনিল নারাইন, মঈন আলিরা যোগ দেওয়ার পর কুমিল্লার চেহারাই বাকিদের চেয়ে বেশ আলাদা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে রোববার প্রথম কোয়ালিফায়ারে সেটা স্পষ্ট দেখা গেছে।

সিলেটকে ১২৫ রানে আটকে দিয়ে ২০ বল আগে খেলা শেষ করেছে বিপিএলের সফলতম দল।

নারাইন ৩.১ ওভার বল করে স্রেফ ৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। পরে ব্যাট হাতে করেন ১৮ বলে ৩৯ রান। রাসেল ২২ রানে ২ উইকেট নেওয়ার পর ১০ বলে করেন অপরাজিত ১৫। মঈন ২০ রানে ১ উইকেটের পর ১৩ বলে করে যান ২১ রান।

বিদেশিরা তো আছেনই। বর্তমান সময়ে দেশসেরা ওপেনার লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমানরাও দলের বড় ভরসা। ফাইনালে যেই প্রতিপক্ষ হোক, ফেভারিট থাকবে কুমিল্লাই।

আরেকটি বিপিএলের ফাইনালে উঠার পর কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বললেন, বিদেশি যারা এসেছেন তাদের সবাই আগে খেলেছেন কুমিল্লার হয়ে। কুমিল্লার আবহ সম্পর্কেও বেশ পরিচিত তারা। এই জায়গায় হচ্ছে বড় তফাৎ, ‘পার্থক্য একটা হচ্ছে আমরা যাদের নিয়ে এসেছি তারা বেশিরভাগ আমাদের দলে আগে খেলেছে। আমাদের পরিবেশ, পরিস্থিতি ও ভূমিকা আগে থেকে জানে।’

তিনবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার বড় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও বেশি। তাদের স্কোয়াডে আসা বিদেশিরাও অন্য ফ্র্যাইঞ্চাইজিতে নিয়মিত খেলেন এসব ম্যাচ। এবারও ফাইনালে স্নায়ু ধরে রাখা তাই সহজ হবে বলে মনে হচ্ছে সালাউদ্দিনের, ‘প্লে অফ, ফাইনাল এসব স্নায়ু চাপের খেলা অনেকটা। আমরা যাদের নিয়েছি মোটামুটি তাদের সবারই ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। স্থানীয়দেরও ফাইনাল খেলার অভ্যাস আছে। ফাইনালে যত যাই বলেন স্নায়ু একটা ভূমিকা রাখে। এই জায়গায় আমাদের একটা সুবিধা থাকবে।’

‘গতবারের ফাইনালটাই দেখেন পুরো ম্যাচটা আমরা হেরেই গিয়েছিলাম, কিন্তু একদম শেষ দিকে স্নায়ু ধরে রাখতে পেরেছিলাম বলে ম্যাচটা বের করতে পারি।’

বড় বিদেশি তারকাদের দলে ভেড়ানোয় কম যায়নি রংপুর রাইডার্সও। প্লে অফের আগে তারা নিয়ে এসেছে নিকোলাস পুরান, ডোয়াইন ব্র্যাভো, দাসুন শানাকা, মুজিব-উর রহমানদের। সালাউদ্দিনের মতে বড় খেলোয়াড় সব দলেই আছেন, তবে তাদের ঠিকমতো ব্যবহার করা, নির্দিষ্ট ভূমিকা দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ, ‘অন্য অনেক দলেই কোয়ালিটি প্লেয়ার আসে, এমন না যে আসে না। সব দলেই আসে। হয়ত ঠিক জায়গায় ঠিক খেলোয়াড়রা বাছতে হয়, যে কাকে আমরা নিয়ে আসছি। কোন পজিশনে কাকে আনলে ভালো এটা বোঝা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বড় প্লেয়ার, ছোট প্লেয়ার ম্যাটার করে না। ম্যাটার করে কাকে কোথায় ব্যবহার করবেন। আগেও টুর্নামেন্টে অন্য দলে অনেক বড় প্লেয়ার আসছে, তবু তো আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’

আরো পড়ুন