কুমিল্লায় ১ ঘন্টার টানা বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত
ডেস্ক রিপোর্টঃ বিকেল ঘনিয়ে সন্ধ্যায় আকাশ ফুঁড়ে নেমে আসা এক ঘণ্টার বর্ষণে তলিয়ে গেছে কুমিল্লা নগরীর প্রায় সব রাস্তাঘাট। একমনকি হাঁটু সমান পানি জমেছে নগরীর প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত টাউন হল মাঠে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
বিশেষ করে ঈদের কেনাকাটায় বের হওয়া নগরবাসীর জন্য এ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে মহাদুর্ভোগ হয়ে। হাসিমুখে শপিংয়ে আসা মানুষগুলোকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে ভেজা শরীরে।
মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই ঝিরঝির বৃষ্টি হতে থাকে কুমিল্লায়। এরই ধারাবাহিকতায় ইফতার ঘনিয়ে সন্ধ্যালগ্ন থেকে একটানা ভারী বৃষ্টিপাত হতে থাকে। সন্ধ্যার এ বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ডুবে যায়। তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। ড্রেনের ময়লা-আবর্জনাযুক্ত জলাবদ্ধ এসব সড়কে মহাভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। বিশেষ করে ঈদ ঘিরে নগরীর সকল সড়কেই পথচারী ও যানবাহনের চাপ বাড়ায় ভোগান্তির মাত্রাও বেড়ে যায়।
কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টিতে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড়, জিলা স্কুল রোড, স্টেডিয়াম মার্কেট, বাদুরতলা, চর্থা, বাগিচাগাঁও, চকবাজার, ঝাউতলা, পুলিশ লাইন, ছোটরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সড়ক, ধর্মপুর ভিক্টোরিয়া কলেজ সড়কসহ নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক পানির নিচে রয়েছে।
বিশেষ কুমিল্লা সিটি মার্কেট থেকে জিলা স্কুল, স্টেডিয়াম মার্কেট হয়ে ঈদগাহ কোণ পর্যন্ত সড়কটিতে হাঁটু সমান পানি জমে আছে। পথচারীদের চলাচলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।
অপরদিকে কুমিল্লার রেইসকোর্স ইস্টার্ন ইয়াকুব প্লাজার সামনের সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবারের বৃষ্টির পর সড়কটির রেইসকোর্স থেকে শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকা পর্যন্ত অসহনীয় মাত্রায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও পথচারীদের।
ইস্টার্ন ইয়াকুব প্লাজায় ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মাবাবুব ইসলাম নামে এক কলেজ শিক্ষক বলেন, ‘পরিবার নিয়ে ঈদ মার্কেট করতে এসে এখন পড়েছি মহাবিপাকে। বৃষ্টি জলাবদ্ধতা আর আবর্জনায় ডিঙিয়ে কিভাবে বাসায় ফিরবো টেনশনে আছি।
কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু জানিয়েছেন, নগরীর ড্রেন ও সড়কের সংস্কার কাজ চলার কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অচিরের এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
সূত্রঃ পরিবর্তন