কুমিল্লায় ধর্ষণ করতে গিয়ে লুঙ্গি ফেলে পালাল পুলিশ, থানায় মামলা
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা মুরাদনগরে ধর্ষণের অভিযোগে জহিরুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উপজেলার ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের আমপাল গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। শনিবার রাতে এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের পর রোববার ধর্ষিতাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম (৩৫) আমপাল গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানায় কর্মরত রয়েছেন।
মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আমপাল গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলামের সঙ্গে এলাকার এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। উভয়ের মাঝে গত দুই বছর যাবত তাদের মধ্যে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক হয়।
এছাড়া চাকরির ফাঁকে ফাঁকে ছুটিতে এসেই গোপনে কৌশলে দুজন মিলিত হতেন। এ নিয়ে মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে পুলিশ সদস্য জহির ছলচাতুরি শুরু করে। সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই শুক্রবার জহির বাড়িতে এসে রাত অনুমানিক ২টার দিকে ওই মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে আর একজনের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে।
এ সময় মেয়েটি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন জহিরকে চারদিক থেকে ঘেরাও করে। পরে ঘটনাস্থলে তার পরনের লুঙ্গি ফেলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে শনিবার বিকালে পুলিশ এলাকায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসাবে জহিরের লুঙ্গি উদ্ধার ও ভিকটিমের পরনের ছালোয়ার কামিজ জব্দ করে। রোববার দুপুরে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সোহেল জানান, মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নবীনগর থানায় কর্মরত পুলিশ (কং/১০০৫) জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতারপূর্বক আদালতে সোপর্দ করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানায় কর্মরত কনস্টেবল জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
সূত্রঃ যুগান্তর