কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কটি বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় সড়কটির পিচ এবং ইট উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় বিকল হচ্ছে ছোট-বড় যানবাহন। রাস্তার মাঝেই অকেজো হয়ে পড়ে থাকে বাস ট্রাক, নসিমনসহ বিভিন্ন যানবাহন। কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মুরাদনগর উপজেলার গকুলনগর থেকে দেবিদ্বার উপজেলার সফুরা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কটি চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে দায়সারাভাবে সংস্কারের কারণে বছর না যেতেই সড়কগুলো খানা-খন্দে ভরে গেছে। এ কারণেই কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের এখন করুণদশা। বৃষ্টির পানিতে গর্তগুলোর কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে দ্বিগুণ। এ সড়কে দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটে চলাও দায়। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক নির্মাণ বা মেরামতের কোনো উদ্যোগও দৃশ্যমান নয়।
গত কয়েকদিনে এ সড়কে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে দুর্ঘটনা, সাম্প্রতিক কিছু দুর্ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবল নিহতসহ আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক যাত্রী ও পথচারী। চলতি মাসের ১০ সেপ্টেম্বর কালিকাপুরে একটি যাত্রীবাহী সুগন্ধা বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছে আটকে যায়। অপরদিকে ১১ সেপ্টেম্বর উপজেলার ভিরাল্লা স্টেশনে পর পর দুইটি ট্রাক উল্টে যায় এতে প্রায় তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। আরও অভিযোগ রয়েছে, বছরের পর বছর ধরে সওজের রাস্তা সংস্কার, মেরামত ও জোড়াতালির কাজ চললেও নেই কোনো টেকসই পরিকল্পনা ও উদ্যোগ।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন জানান, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কটি খুব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সংস্কারের জন্য এখনও বরাদ্দ পায়নি তবে আলোচনা চলছে। ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে কাজ শুরু করা যাবে বলে তিনি জানান।